নাগপুর: টেস্ট ক্রিকেটে দারুণ এক রেকর্ড গড়লেন আর অশ্বিন (R Ashwin)। ভেঙে দিলেন কিংবদন্তি অনিল কুম্বলের (Anil Kumble) কীর্তি।


নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট নিয়েছেন তামিলনাড়ুর অফস্পিনার। তাঁর শিকারের তালিকায় অ্যালেক্স ক্যারি, প্যাট কামিন্স ও স্কট বোল্যান্ড। অশ্বিনের বোলিং পরিসংখ্যান ১৫.৫-২-৪২-৩। রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে জুটি বেঁধে অশ্বিনের স্পিনই অজি ব্যাটারদের ঘায়েল করেছে বৃহস্পতিবার।


টেস্ট ক্রিকেটে সাড়ে চারশো উইকেট হয়ে গেল অশ্বিনের। দেশের হয়ে ৮৯তম টেস্টে সাড়ে চারশো উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন অশ্বিন। গড়লেন নতুন কীর্তি।


অশ্বিনের আগে অনিল কুম্বলে ৯৩তম টেস্টে সাড়ে চারশো উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন অশ্বিন। তিনিই এখন ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে টেস্টে দ্রুততম সাড়ে চারশো উইকেট নেওয়া বোলার। অস্ট্রেলিয়ার ক্যারি হলেন অশ্বিনের সাড়ে চারশোতম শিকার। আপাতত ৪৫২ উইকেট হয়ে গেল অশ্বিনের।


তবে বিশ্বরেকর্ড শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলীধরনের দখলে। মাত্র ৮০ টেস্টে সাড়ে চারশো উইকেট পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অফস্পিনার। 


টেস্টে ৪৫২ উইকেটের পাশাপাশি ওয়ান ডে-তে ১৫১টি ও টি-টোয়েন্টিতে ৭২টি উইকেট রয়েছে অশ্বিনের। টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় নয় নম্বরে তিনি। 


স্পিনারদের দাপট


পাঁচ মাস চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। তবে মাঠে ফিরেই নিজের দক্ষতা আবারও প্রমাণ করলেন ভারতের তারকা অলরাউন্ডার। মাত্র ৪৭ রান খরচ করে পাঁচ উইকেট নিলেন জাডেজা। তাঁর স্পিন জুড়িদার আর অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) নিলেন তিন উইকেট।


ভারতীয় স্পিনারদের দাপটে অজিরা বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২০০ রানের গণ্ডিও পার করতে পারল না। মাত্র ১৭৭ রানেই অল আউট হয়ে গেলেন প্যাট কামিন্সরা। ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক কামিন্স। তবে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও উসমান খাওয়াজা শুরুটা একেবারেই ভালভাবে করেননি। সিরিজে নিজের প্রথম বলেই খাওয়াজাকে এক রানে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। পরের ওভারেই ওয়ার্নারকে এক রানে ফেরান শামি। দুই রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বিরাট চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে স্টিভ স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন ৮২ রানের পার্টনারশিপে অজিদের ম্যাচে ফেরান।


লাঞ্চের পর লাবুশেন-স্মিথের গড়ে দেওয়া ভিতেই বড় রান করার আশায় ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে সেই আশায় জল ঢেলে দেন রবীন্দ্র জাডেজা। পরপর বলে লাবুশেন ও ম্যাট রেনশকে সাজঘরে ফেরান জাডেজা। ৪৯ রানে আউট হন লাবুশেন। এরপর নিরন্তর ব্যবধানে উইকেট হারাতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। অ্যালেক্স ক্যারি প্রতিআক্রমণাত্মক ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন বটে। তবে দ্বিতীয় সেশনে ৯৮ রানের বিনিময়ে ছয় উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। অশ্বিন দুইটি ও জাডেজা চারটি উইকেট নেন। এই সেশনেই সেট স্মিথকে ৩৭ রানে ফেরান জাডেজা। 


আরও পড়ুন: সচিন-নীরজের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হৃষিতা, হাওড়ার কন্যার লক্ষ্য মহিলাদের আইপিএল