কলম্বো: করোনার ধাক্কায় মাঝপর্বে বন্ধ করে দিতে হয়েছিল আইপিএল। অতিমারি পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে এবার স্থগিত হয়ে গেল এশিয়া কাপ। জুন মাসে শ্রীলঙ্কায় হওয়ার কথা ছিল টুর্নামেন্ট। গত বছর পাকিস্তান থেকে সরিয়ে টুর্নামেন্ট শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বুধবার টুর্নামেন্টের আয়োজক শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে যে, করোনা পরিস্থিতির বাস্তব ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে এখন এশিয়া কাপ আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।
বুধবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) অ্যাশলে ডি'সিলভা সাংবাদিকদের বলেছেন, 'করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জুন মাসে টুর্নামেন্ট করা সম্ভব হচ্ছে না।' তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এশিয়া কাপ এক ধাক্কায় দু বছর পিছিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ২০২৩ সালের পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপের পর হতে পারে এশিয়া কাপ। কারণ, ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আগে আগামী দু বছরের জন্য সব দেশই ক্রীড়াসূচি চূড়ান্ত করে ফেলেছে এবং এর মধ্যে এশিয়া কাপের জন্য সময় বার করা কঠিন হতে পারে। ডি'সিলভা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের তরফে সরকারিভাবে এশিয়া কাপ স্থগিত হয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে দেওয়া হবে।
টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে এশিয়া কাপ গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানে। পরে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় টুর্নামেন্ট স্থানান্তরিত হয়। পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে বিরাট কোহলিদের বোর্ডের আপত্তিই ছিল এর নেপথ্যে মূল কারণ। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে এক বছরের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল টুর্নামেন্ট। ঠিক হয়েছিল ২০২১ সালের জুন মাসে শ্রীলঙ্কায় শুরু হবে এশিয়া কাপ। সেই মতো প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ফের বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও প্রতিকূল হয়েছে। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলিতে যেভাবে কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এ ধরনের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আদৌ আয়োজন করা সঠিক কাজ হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। শ্রীলঙ্কায় যেমন আগামী ১০ দিন সমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপ স্থগিতই হয়ে গেল।