কলম্বো: এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এবার নিজেরা পিছিয়ে আসতে চলেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এবার টুর্নামেন্ট আয়োজন থেকে পিছিয়ে আসতে চলেছে লঙ্কা বোর্ড, সূত্রের খবর এমনই। কয়েকমাস ধরেই শ্রীলঙ্কায় চূড়ান্ত ডামাডোল, রাজনৈতিক অস্থিরতা। তার জেরে দেশ ছাড়ার হিড়িক। পাসপোর্ট অফিসে লম্বা লাইন। 


শ্রীলঙ্কাজুড়ে তীব্র জ্বালানি সঙ্কট। এর মধ্যেই ডিজেল ভর্তি ২টি জাহাজ আজ ভোরে পৌঁছয় কলম্বো বন্দরে। সোম অথবা মঙ্গলবার পেট্রোল বোঝাই আরও একটি জাহাজ কলম্বোয় আসার কথা। জ্বালানির দাম মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন সূত্রে খবর।  


আমিরশাহি না বাংলাদেশ?


তবে সূত্রের খবর, এশিয়া কাপ আয়োজনের অন্যতম দাবিদার রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও। তাঁরাও এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। তবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি এখনও। লঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড শেষ পর্যন্ত কী জানায়, তার অপেক্ষায় রয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। উল্লখ্য, দেশের এই অচলাবস্থার মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে খেলেছে লঙ্কা ক্রিকেট দল। আবার পাকিস্তান এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কাতেই রয়েছে। বাবর আজমরা সেখানে গল স্টেডিয়ামে এই মুহূর্তে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলছেন। কিন্তু এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঝুঁকি নিতে চাইছে না লঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড।


উল্লেখ্য়, উল্লেখ্য, হিংসা থিতিয়ে এলেও, রাজনৈতিক টালামাটাল অবস্থা এখনও অব্যাহত শ্রীলঙ্কায়। সর্বদলীয় সরকার গড়তে পদত্যাগের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। তাতে সব বিরোধী দলও নিমরাজি হয়েছিল। কিন্তু এখনও ইস্তফা দেননি রনিল। সে ক্ষেত্রে, আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ইস্তফা দিলে তাঁর পদে আসীন হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু রনিলের আধিপত্যে আপত্তি বিরোধীদের। তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট পদেও দেখতে চায় না বলে জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। সে ক্ষেত্রে স্পিকারকে দিয়ে কাজ চালানো হতে পারে। 


আরও পড়ুন: দুঃসময়ে বিরাট সমর্থন, কোহলির পাশে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি