দুবাই: কাজে লাগল না লিটন দাসের দুরন্ত শতরান। বাংলাদেশকে টানা দ্বিতীয়বার হারিয়ে সপ্তমবার এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হল এই প্রতিযোগিতার সফলতম দল ভারত। আজ ফাইনালে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ৩ উইকেটে জয় পেল রোহিত শর্মার দল। ২২৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে শেষ বলে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬ রান। বল করতে আসেন মাহমুদুল্লাহ। রোমহর্ষক ম্যাচে শেষপর্যন্ত ম্যাচ জেতে ভারত।


এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় দল। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যে পাঁচজনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল, আজ তাঁরা সবাই দলে ফেরেন। বাংলাদেশ দলে একটি পরিবর্তন হয়। মোমিনুলের বদলে দলে আসেন বাঁ হাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম। পাঁচ বোলার নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। আজই একদিনের আন্তর্জাতিকে প্রথম অর্ধশতরান ও পরে শতরান করেন লিটন। তিনি অর্ধশতরান করার পথে ৬টি বাউন্ডারি ও দু’টি ছক্কা মারেন। এরপর ৮৭ বলে ১২টি বাউন্ডারি ও দু’টি ছক্কার সাহায্যে ১২১ রান করেন লিটন। ওপেনিং জুটিতে যোগ হয় ১২০ রান। সেই সময় মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশ বড় রান করবে। কিন্তু এরপরেই ম্যাচে ফেরে ভারতীয় দল। মেহেদি হাসানকে (৩২) ফেরান কেদার যাদব। এরপর ইমরুল কায়েসকে (২) ফেরান যুজবেন্দ্র চাহল। মুশফিকুর রহিমকে (৫) ফেরান কেদার। মহম্মদ মিঠুন (১) রান আউট হয়ে যান। মাহমুদুল্লাহকে (৪) আউট করেন কুলদীপ। সৌম্য সরকার (৩৩) কিছুটা লড়াই করেন। তিনি রান আউট হয়ে যান। বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজাকেও (৭) ফেরান কুলদীপ। রান আউট হয়ে যান নাজমুল ইসলাম (৭)। জসপ্রীত বুমরাহর বলে ফেরেন রুবেল হোসেন (০)। অপরাজিত থাকেন মুস্তাফিজুর রহমান (২)।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই শিখর ধবন (১৫) ও অম্বাতি রায়াডুর (২) উইকেট হারায় ভারতীয় দল। এরপর ৪৮ রান করে ফেরেন রোহিত। দীনেশ কার্তিক করেন ৩৭ রান। ৩৬ রান করে মুস্তাফিজুরের শিকার হন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। কেদার যাদব ১৯ রান করার পর চোটের কারণে অবসৃত হন। তাঁর বদলে ক্রিজে আসেন ভুবনেশ্বর কুমার। তিনি ২৩ রান করে মুস্তাফিজুরের বলে আউট হয়ে যান। রবীন্দ্র জাডেজা ২৩ রান করে ফেরেন। এরপর ফের ক্রিজে আসেন কেদার। তিনি শেষপর্যন্ত ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। কুলদীপ ৫ রানে অপরাজিত থাকেন।