সিডনি: উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতে তাঁর বিদ্যুত গতি ধোঁকা দিয়েছে অনেক ব্যাটসম্যানকে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির হাতে বল যাওয়া মানেই ব্যাটসম্যান যদি ক্রিজের সামান্যতকম বাইরেও থাকেন, পলক ফেলার আগেই উড়ে যাবে বেল। স্টাম্পড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে পা বাড়াবেন ব্যাটসম্যান। বিশ্বক্রিকেটে এটাই ছিল এতদিনের দস্তুর।

রবিবার সিডনিতে ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ধোনির মতো বিদ্যুৎ গতির না হতে পারার জন্য আতক্ষেপ করতে দেখা গেল এক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারকে। আর তিনি ম্যাথু ওয়েড। আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল, অ্যারন ফিঞ্চের অনুপস্থিতিতে ওয়েডই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব করছেন। কোনও অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের মুখে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের মতো হতে না পারা নিয়ে মন্তব্য ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বেশ অচেনা। কারণ ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দ্বৈরথ মানেই বরাবর অপেক্ষা করে থেকেছে তুমুল রেষারেষি। সে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টসের জন্য স্টিভ ওয়কে দাঁড় করিয়ে রাখা হোক, স্টিভ স্মিথের ব্রেন ফেড হোক বা অজি ক্রিকেটারদের চিন মিউজিক শোনানোর হুমকি।

ঠিক কী হয়েছে রবিবার? ভারতের তখন ব্যাটিং চলছে। ক্রিজে শিখর ধবন। অস্ট্রেলিয়ার ১৯৫ রান তাড়া করতে নেমে তখন পাল্টা লড়াই করছেন ভারতীয় ব্যাটসম্য়ানেরা। অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার মিচেল সোয়েপসনের বলে কাট মারতে যান ধবন। তবে অল্পের জন্য ব্যাটে-বলে হয়নি। বলটি মিস করেন দিল্লির বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। বলটি স্টাম্পসের অনেকটা দূর দিয়ে যাওয়ায় আম্পায়ার সেটিকে ওয়াইড ডেলিভারি হিসাবে ঘোষণা করেন। তবে ধবনের পা ক্রিজের সামান্য বাইরে বেরিয়েছিল। স্টাম্পিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন ওয়েড। তবে বেল ভাঙার আগেই শিখর ক্রিজে পা ঢুকিয়ে দেন। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের আবেদনে সাড়া দিয়ে তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেন অনফিল্ড আম্পায়ার। তবে তৃতীয় আম্পায়ার ধবনকে নট আউট ঘোষণা করেন।  যা নিয়ে আক্ষেপ করতে শোনা যায় ওয়েডকে। ধবনের দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, "ধোনি হতে পারলাম না। ধোনির মতো বিদ্যুৎ গতির হতে পারলাম না।"



ওয়েডের সেই মন্তব্য স্টাম্প মাইক্রোফোনে ধরা পড়ে। যা শুনে হেসে ফেলেন ধবন। ধারাভাষ্যকারেরাও তখন হেসে চলেছেন। শেষ পর্যন্ত ৫২ রান করে ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন ধবন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর ১১তম হাফসেঞ্চুরি। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি জিতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারতীয় দল।