ঢাকা: শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি ২০ ম্যাচে আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য জরিমানা হল পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার শাহিন আফ্রিদির। উল্লেখ্য, শনিবার মাঠে অত্যন্ত অভব্য আচরণ করেন পাক ফাস্ট বোলার। নিজের ফলো-থ্রুতে বল বিপজ্জনকভাবে ছুঁড়েছিলেন শাহিন আফ্রিদি। এতে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন আহত হন। এই ঘটনার জন্য তাঁকে জরিমানার পাশাপাশি তাঁর শৃঙ্খলাসংক্রান্ত রেকর্ডে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে।
খেলোয়াড় ও প্লেয়ার সাপোর্ট পার্সোনেলের জন্য নির্ধারিত আইসিসি-র আচরণ বিধির ২.৯ ধারা ভঙ্গের জন্য শাহিন আফ্রিদিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ওই ধারায় বল (বা অন্য কোনও ক্রিকেট সরঞ্জাম, যেমন জলের বোতল) কোনও খেলোয়াড় বা সাপোর্ট পার্সোনাল, ম্যাচ রেফারি, আম্পায়ার বা অন্য কোনও তৃতীয় ব্যক্তিকে আন্তর্জাতিক ম্যাচে লক্ষ্য করে বিপজ্জনকভাবে বা অনুপযুক্তভাবে ছুড়লে শাস্তির সংস্থান রয়েছে।
গতকালের ঘটনার জন্য শাহিন আফ্রিদির ম্যাচ ফি-র ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই ওই ঘটনা ঘটে গেল, যার ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। খেলার মাঝেই বল ছুড়ে মেরে বাংলাদেশের ব্যাটারকে আহত করলেন পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই শাহিনের বলে আউট হয়ে ফিরে যান সইফ হাসান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে আসা শাহিনের দ্বিতীয় বলে দুর্দান্ত ছক্কা হাঁকান আফিফ হোসেন। পরের বলটি আফিফ ডিফেন্স করেন। ফলে সেটি শাহিনের হাতে চলে যায়। শাহিন বল তুলে সোজা অফিফের দিকে ছুড়ে মারেন। সেই বল মাথায় লাগার পর ক্রিজেই বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে কাতরাতে থাকেন আফিফ।যদিও সঙ্গে সঙ্গে আফিফের কাছে দৌড়ে যান শাহিন। কিন্তু তাঁর স্পোর্টসম্যান স্পিরিট নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়।
এই ঘটনায় কোনও আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি। কারণ, শাহিন আফ্রিদি নিজের দোষের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। ম্যাচ রেফারি যে শাস্তির প্রস্তাব দেন, তা মেনে নেন পাক ফাস্ট বোলার। এরপর সেই প্রস্তাব আইসিসি-র ক্রিটেক অপারেশনস ডিপার্টমেন্ট অনুমোদন করে।