হারারে: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি টেস্টে এস শ্রীসন্থের রঙ্গভঙ্গি অনেক ভারতীয় সমর্থকদের স্মৃতিতেই উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পিচের মধ্যেই ব্রেক ডান্সে মেতেছিলেন ভারতের এই প্রাক্তন ফাস্ট বোলার। ওই সময় বোলিং করছিলেন আন্দ্রে নেল। শ্রীসন্থের ওই কাণ্ডকারখানায় স্বাভাবিকভাবেই বিরক্ত হয়েছিলেন প্রতিপক্ষ শিবিরের বোলার। বাইশ গজে বোলার ও ব্যাটসম্যানদের এ ধরনের টক্কর বহুবারই দেখা গিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন পেসার কার্টলে অ্যামব্রোজ ও অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ব্যাটসম্যান স্টিভ ওয়ার মধ্যেও এমন ধরনের একটা ঘটনার কথাও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে রয়েছে। বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবোয়ের চলতি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে এমনই একটা ঘটনা ঘটল। বাইশ গজে বোলার ও ব্যাটসম্যানদের এ ধরনের টক্করের তালিকায় এই ঘটনাও ঢুকে পড়ল। বাংলাদেশের টেল এন্ডার তাসকিন আহমেদ জিম্বাবোয়ের ব্লেসিং মুজারবানির একটি বল ছেড়ে দিতে সক্ষম হন। আর তা করে খানিক নেচে আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি।
এটা একেবারেই ভালোভাবে নেননি জিম্বাবোয়ের পেসার। তিনি ছুটে গিয়ে তাসকিনের হেলমেটে মাথা লাগিয়ে তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকেন।সঙ্গে কিছু বাক্যবিনিময়ও হয়।
আসলে মাহমুদুল্লার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তাসকিন।কঠিন সময়ে পিচ আঁকড়ে পড়ে থেকে দলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেন তিনি। মাহমাুদুল্লাকে যোগ্য সঙ্গত করে দলকে ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেন। বাংলাদেশে একটা সময় ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল। সেখান থেকে মাহমুদুল্লার সঙ্গে দলের ইনিংসের হাল ধরেছিলেন লিটন দাস। দলের ২৭০ রানে ৯৫ রান করে আউট হন তিনি। এরপর নবম উইকেটে তাসকিন মাহমুদুল্লার সঙ্গে ১৯১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তাসকিন। তাসকিন ৭৫ রান করেন। ১৫০ রানে অপরাজিত থেকে যান মাহমুদুল্লাহ। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৪৬৮ রানে।
মুজারবানি জিম্বাবোয়ের হয়ে সর্বাধিক চার উইকেট নিয়েছেন। জিম্বাবোয়ে তাদের প্রথম ইনিংসের শুরুটা বেশ ভালো করেছে। ব্রেন্ডন টেলর ঘরের মাঠে দলের ব্যাটিংয়ের নেতৃত্ব দেন।