বঢোদরা: সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অশান্তির আগুন জ্বলতে শুরু করেছিল বঢোদরা দলে। গত ৯ জানুয়ারি অনুশীলন চলাকালীন বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন ক্রুনাল পাণ্ড্য এবং দলের সহ-অধিনায়ক দীপক হুডা। বিসিএকে লেখা চিঠিতে হুডা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেছেন ক্রুনাল। গালিগালাজ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ তোলেন। একইসঙ্গে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন হুডা। এবার সেই হুডাকেই দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে চলতি ঘরোয়া ক্রিকেটের মরসুম থেকে নির্বাসিত করল বঢোদরা ক্রিকেট সংস্থা। যার অর্থ, চলতি মরসুমে আর তাঁকে বঢোদরার হয়ে খেলতে দেখা যাবে না।


সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ক্রুণালের সঙ্গে বাদানুবাদের পর দলের জৈবসুরক্ষা বলয় ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি থেকে নামও তুলে নেন হুডা। তারই রেশ ধরে চলতি ঘরোয়া মরসুমের জন্য দীপক হুডাকে সাসপেন্ড করল বঢোদরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ)। যদিও সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে রাজ্য সংস্থার একাধিক সদস্য।

বিসিএ-র প্রেস এবং পাবলিসিটির চেয়ারম্যান সত্যজিৎ গায়কোয়াড় জানান, চলতি ঘরোয়া মরসুমের জন্য হুডাকে আর দলে বিবেচনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাপেক্স কাউন্সিল। পাণ্ড্যর সঙ্গে হুডার যে ঝামেলা হয়েছিল, তা নিয়ে দলের কোচ এবং টিম ম্যানেজারের রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কথা বলা হয়েছে হুডার সঙ্গেও। যদিও সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন অ্যাপেক্স কাউন্সিলের কয়েকজন সদস্য। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। গায়কোয়াড় জানান, সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির পাশাপাশি এবারের বিজয় হাজারে ট্রফিতেও খেলতে পারবেন না হুডা। তিনি আবার ২০২১-২২ মরসুমে বঢোদরার জার্সি গায়ে মাঠে নামতে পারবেন।

বিসিএ-র যুগ্মসচিব পরাগ পটেল জানান, দলের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা না করেই দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে হুডা ভুল করেছেন। তবে পুরো মরসুমের জন্য তাঁকে নিষিদ্ধ করার কোনও প্রয়োজন ছিল না। তাঁকে খেলতে দেওয়া উচিত ছিল।