ফ্রাঙ্কফুর্ট: গত দশ বছর ধরে টানা বুন্দেশলিগা খেতাব নিজেদের দখলে রেখেছে বায়ার্ন মিউনিখ (Bayern Munich)। মরসুমের প্রথম ম্যাচ যদি আসন্ন সময়ের ইঙ্গিতবাহী হয়, তাহলে সেই লিগ এবারেও বাভেরিয়া ফিরতে পারে।


বিধ্বংসী বায়ার্ন


মরসুমের প্রথম ম্যাচে ইউরোপা লিগ জয়ী আইনথ্রাখ্ট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন জশুয়া কিমিখরা। প্রথমার্ধেই পাঁচ গোল পুরে নিজেদের মনোভাব স্পষ্ট করে দিল বায়ার্ন, ম্যাচ জিতল ৬-১ গোলে। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে প্রবল ধোঁয়ার সুযোগে ফ্রাঙ্কফুর্টের কিপার কেভিন ট্রাপকে বোকা বানিয়ে চতুর এক ফ্রি-কিকের মাধ্যমে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন কিমিখ। পাঁচ মিনিট পরে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেঞ্জামিন পাভার্ড। 


গত সপ্তাহে দলের নতুন তারকা সাইনিং সাদিও মানে (Sadio Mane) সুপার কাপে লাইপজিগের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন। নিজের প্রথম লিগ ম্যাচেও নতুন দলের হয়ে গোল করলেন মানে। আফ্রিকার এ মরসুমের সেরা খেলোয়াড়ের দৌলতে ৩০ মিনিটের আগেই ৩-০ লিডে ছিল বায়ার্ন। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে জামাল মুসিয়ালা ও সার্জ ন্যাবরি গোলে স্কোরলাইন হয় ৫-০।


ফ্রাঙ্কফুর্ট দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ভাল খেলে এবং ম্যানুয়াল ন্যুয়ারের ভুলে সুযোগে ৬৪ মিনিটে একটি গোলও করে। তবে মুসিয়ালা ৮৩ মিনিটে বায়ার্নের হয়ে আরও একটি গোল যোগ করায় খেলা ৬-১ শেষ হয়। ফ্রাঙ্কফুর্ট শ্রীঘ্রই রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে সুপার কাপ খেলতে নামবে। তার আগে মরসুম শুরুর ম্যাচেই এমন পরাজয় কিন্তু দলের চিন্তা বাড়াবে।


আর্সেনালের জয়


বুন্দেশলিগার পাশাপাশি শুরু হয়ে গিয়েছে প্রিমিয়ার লিগও। মরসুম শুরুর ম্যাচে লন্ডন ডার্বিতে ক্রিস্টাল প্যালেসের মুখোমুখি হয়েছিল আর্সেনাল (Arsenal)। সেই ম্যাচে প্যালেসের ঘরের মাঠে তাদের হারাল গানার্সরা। মরসুমের প্রথম গোলটি আসে আর্সেনালের ব্রাজিলয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েলের হেড থেকে, তবে জেসুস নয়, মার্টিনেলি। জেসুস গোটা ম্যাচ জুড়ে জেসুস প্রচুর খাটাখাটি করলেও, নতুন ক্লাবের হয়ে লিগ অভিষেকে গোল পাননি। প্যালেসের হয়ে এডুয়ার্ড প্রথমার্ধের শেষের দিকে জোড়া সুযোগ পেলেও, গোল পাননি। 


দ্বিতীয়ার্ধেও ছবিটা অনেকটাই বদলায়। প্যালেস নিজেদের মাঠের সমর্থনে ভর করে দারুণ লড়াই চলায়। একটা সময় প্যালেসের আক্রমণে আর্সেনালকে দিশেহারা দেখাচ্ছিল। কিন্তু ঠিক সেই সময়ই বুকায়ো সাকার এক ক্রস থেকে প্যালেসের ডিফেন্ডার গেহি আত্মঘাতী গোল করে ম্যাচের ফলাফল নিশ্চিত করে ফেলেন। ম্যাচ শেষ হয় আর্সেনালের পক্ষে ২-০ স্কোরলাইনে। তবে এদিন আর্সেনালে ত্রাতা হয়ে নজর কাড়েন কিপার অ্যারন রাম্সডেল। অন্তত তিনটি নিশ্চিত গোল রুখে দেন তিনি, নাহলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত। 


আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়বেন হরমনপ্রীতরা? আজ কমনওয়েলথে কোন কোন ইভেন্টে নামছে ভারত?