মুম্বই: আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ভারতীয় দল নির্বাচন এখনই করা হচ্ছে না। বিসিসিআই (bcci) আপতত এই নির্বাচন স্থগিত রেখেছে। এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকায় (south africa) চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন প্রজাতি ‘ওমিক্রন’। এই পরিস্থিতিতে আদৌ সরকার কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয় কি না, তার দিকে তাকিয়ে বিসিসিআই। 


কানপুর টেস্টের পরই এই দল নির্বাচনের কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে যে প্লেয়ারদের নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই ফিরে আসবেন। কিন্তু তাঁদের ৫ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বায়ো বাবলে ঢোকার আগে। ৮ ডিসেম্বর প্রোটিয়া সফরের বিমান ধরার কথা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্লেয়ারদের কোনও কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল, ঋষভ পন্থ, মহম্মদ শামি, শার্দুল ঠাকুর, যশপ্রীত বুমরার মতো প্লেয়াররা হয়ত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। 


ইতিমধ্যেই ১৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন এই প্রজাতি। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ডেল্টার থেকেও  অনেক বেশি সংক্রামক ওমিক্রন। এরই মধ্যে 'বেশি ঝুঁঁকিপূর্ণ ' তালিকাভূক্ত দেশগুলি থেকে ভারতে আগতদের শরীরে ধরা পড়ল করোনা। দক্ষিণ আফ্রিকা সহ অন্যান্য ওমিক্রন সংক্রমিত দেশ থেকে ৬ জনের শরীরে ১৫ দিনের মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে। আক্রান্তদের নমুনা পাঠানো হয়েছে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে।


এর মধ্যে পুরুষ এক যাত্রী এখন হাসপাতালে ভর্তি। মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। যদিও বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে, তারা মনে করছে না যে রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত। বিএমসি জানিয়েছে, ওই যাত্রীর RT-PCR  হয়। তাতে তাঁর শরীরে S gene এর অস্তিত্ব মেলে।  জিম্বোবোয়ে থেকে পুণে আসা এক ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত চণ্ডীগড়ের এক বাসিন্দাও কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের নমুনা পাঠানো হয়েছে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য।


আরও পড়ুন: দল এখনও গুছিয়ে উঠতে পারেনি, ওড়িশার বিরুদ্ধে হারের পর স্বীকারোক্তি দিয়াজের