নয়াদিল্লি: ২০২০-র টি ২০ বিশ্বকাপ স্থগিত হলে সেই অবকাশে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে  ত্রয়োদশ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) আয়োজনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য অংশুমান গায়কোয়াড়। এবার ওই সময়ের মধ্যে প্রথমসারির এই টি ২০ টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিবেচনা সংক্রান্ত বিষয়ে আশা প্রকাশ করলেন বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরিও।

আগামী ২৮ মে আইসিসি-র বোর্ড বৈঠকে টি ২০ বিশ্বকাপের আয়োজন সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। বিশ্বকাপ আয়োজনের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত এ বছরের আইপিএল আয়োজনের পথ প্রশ্বস্ত হতে পারে।

জোহরি বলেছেন, অন্যতম জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট আইপিএল। গত বছর সাধারণ নির্বাচনে যত লোক ভোট দিয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশি লোক আইপিএল দেখেছিলেন। স্পনসরদের কাছে ক্রিকেট  হল নেতা এবং ক্রিকেটই পথ দেখাবে।

জোহরি বলেছেন, আইপিএলের সেরা আকর্ষণ হল যে বিশ্বের সেরা প্লেয়াররা টুর্নামেন্টে যোগ দেন এবং খেলেন। প্রত্যেকেই সেই ধারা বজায় রাখতে দায়বদ্ধ। কিন্তু এ ব্যাপোরে ধাপে ধাপে এগোতে হবে। আগামীকালই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে, এমনটা কিন্তু নয়।

একইসঙ্গে জোহরি বলেছেন, টুর্নামেন্টে কোনও খেলোয়াড়ের যোগ দেওয়া বা না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে মর্যাদা দেওয়া হবে।

গত ১৭ মে-র নির্দেশিকায় দর্শকশূন্যভাবে স্টেডিয়াম খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে লকডাউনের কারণে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএল খুব শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হতে পারে কিনা, এর জবাবে জোহলি বলেছেন, তাঁরা সরকারি নির্দেশিকাই পালন করে চলবেন। বোর্ডের  অ্যাডভাইসরিতে বলা বয়েছে, নতুন ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আইপিএল স্থগিত রাখা হয়েছে। লকডাউনের বর্তমান পর্বের পর বর্ষা চলে আসছে। ক্রিকেট সংক্রান্ত কার্যকলাপ বর্ষার পর শুরু করা যেতে পারে। ততদিন পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

তবে অক্টোবর-নভেম্বরে আইপিএলের আয়োজন সহজ হবে না বলেও স্বীকার করেছেন জোহরি। তিনি বলেছেন, যখন উড়ান শুরু হবে, তখন প্রত্যেককে খেলার আগে নিজেদের কোয়ারিন্টিন করতে হবে। এখন দেখতে হবে, তা ক্রীড়াসূচিতে কেমন প্রভাব ফেলে। এটা খুবই কঠিন।

দর্শকশূন্য মাঠে আইপিএল আয়োজনের সম্ভাবনা সম্পর্কে জোহরি বলেছেন, শুধু আইপিএল নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এমন হবে। পরিস্থিতি আগের মতো না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই সবকিছু চলতে পারে।