আইপিএলের ইতিহাসে নাইট ব্রিগেডের এটি ছিল ১০০ তম জয়। এছাড়াও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে চার বছর পর শাহরুখ খানের দলের এটাই প্রথম জয়।
প্রথমে ব্যাট করে ২৩২ রান করে নাইট রাইডার্স। এরপর মুম্বইকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯৮ রানে থামিয়ে দেয় তারা।
ম্যাচের পর কেকেআরের তারকা ক্রিকেটার রাসেলের স্ত্রী জ্যাসিম বলেছেন, স্বামীর কাছ থেকে এমন খেলাই আশা করেছিলেন তিনি। কারণ, এবারের আইপিএলে ইডেনে এটাই ছিল নাইট রাইডার্সের শেষ ম্যাচ।
সেইসঙ্গে জ্যাসিম আরও বলেছেন, যখন রাসেলকে ছক্কা মারতে বা এ রকম বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে দেখি তখন খুবই উত্কন্ঠিত থাকি।
অন্যদিকে, রাসেল বলেছেন, ইডেনে চলতি মরশুমের শেষ ম্যাচ খেলাটা তাঁর কাছে খুবই আবেগবিহ্বল মুহূর্ত ছিল।
জ্যাসিম তাঁর স্বামীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান ও আলিঙ্গনও করেন।
হলিউডের অ্যাভেঞ্জার্স সিনেমার সিরিজের ভক্ত রাসেল বলেছেন, কেউ তাঁকে ‘সুপারহিরো’ বললে তিনি খুশিই হন।
সারা বিশ্বজুড়ে অ্যাভেঞ্জার্স সিরিজের ফলোয়ারের সংখ্যাটা কার্যত অবিশ্বাস্য। তেমনই ক্যারিবিয়ান রাসেল এমন কিছু স্ট্রোক খেলেন, তাও এক কথায় অবিশ্বাস্য।
গতকাল রাতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এমনই বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন তিনি।
ম্যাচের পর রাসেল বলেছেন, আমি অ্যাভেঞ্জার্স-এর অনুরাগী এবং এটা বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছি। অনুরাগীরা আমাকে সুপারহিরো বললে খুশি হই।
রাসেল বলেছেন, হাত ও চোখের সমন্বয়, ব্যাটের স্পিড ও ভারসাম্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাঁধ ও ভেতর থেকে আমি প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করি। সবকিছুই তখন একসঙ্গে কাজ করে।
আটটি ছয়, ছয়টি চারের সাহায্য ৪০ বলে ৮০ রান করেন রাসেল। তিনি বলেছেন, ওই মুহূর্তে এ ধরনের শট খেলতে শরীর যাতে ফিট ও শক্তিশালী থাকে, তা নিশ্চিত করতে হয়।
কভারের ওপর দিয়ে মারা একটি শট সম্পর্কে রাসেল বলেছেন, কোনও ওয়াইড বা স্লোয়ার ডেলিভারি দিয়ে বোলার যখন বোকা বানাতে চায়, তখন এ ধরনের শট আমাকেও বিস্মিত করে।
গত ছয়টি ম্যাচ হারের পর জয় পেয়েছে নাইট রাইডার্স। রাসেল বলেছেন, আশা করছি, আগামী দুটি ম্যাচেও জয় পাব আমরা। এটা আমার অন্যতম সেরা টি ২০ ম্যাচ। আমাদের ২০০-র বেশি রানের দরকার ছিল। ২৩০ রান যথেষ্ট বলতে হবে। ২০০-র সামান্য বেশি রান হলে আমরা হেরেও যেতে পারতাম।
রাসেল আরও বলেছেন, চাপের মুখে আমরা মাথা ঠাণ্ডা রেখেছিলাম। পরিকল্পনার রূপায়ণও ভালো করেছি।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পক্ষে একটা অসম্ভব চেষ্টা করেছিলেন হার্দিক। রাসেলের মতোই অবিশ্বাস্য সব শট খেলেছেন তিনিষ মাত্র ৩৪ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ম্যাচের পর হার্দিক বলেছেন, সার্বিকভাবে আক্রমণের প্রয়োজন ছিল। আউট হওয়ার বলটা ছাড়া তাঁর পক্ষে সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল।
হার্দিকের নয় ছক্কা ও ছয়টি চারের ইনিংসও জয় এনে দিতে পারেনি মুম্বইকে।