দিমাপুর: নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রান তুলেছিল বাংলা। তৃতীয় দিনে ম্যাচে নিজেদের দখল আরও মজবুত করল বাংলা। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary) ও অলরাউন্ডার শাহবাজ আমেদের (Shahbaz Ahmed) ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে চার উইকেটের বিনিময়ে ৪৫০ রান তুলেই ইনিংস ঘোষণা করল বাংলা। প্রথম ইনিংসে বাংলা ২৮৪ রানে এগিয়ে।


শাহবাজ-মনোজের দাপট


প্রথম ইনিংসে নাগাল্যান্ডের ১৬৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলা। মাত্র চার রানে সাজঘরে ফেরেন কৌশিক ঘোষ, ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও সুদীপ কুমার ঘরামি ২৯৪ রান যোগ করেন। উভয়ই শতরান হাঁকান। ২১৮ বলে ১৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭০ রানের ইনিংস খেলেন বাংলার ওপেনার। অন্যদিকে ১৭৮ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন সুদীপ ঘরামি। তিনি ১১টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান। ৩০ রান করেন অনুষ্টুপ। এরপরেই ক্রিজে মনোজ তিওয়ারিকে সঙ্গ দিতে নামেন শাহবাজ।


জয়ের হাতছানি


আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে দলের স্কোরকে হু হু করে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। মাত্র ৫৫ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। শাহবাজের মতো এত দ্রুত গতিতে না হলেও, মনোজও দারুণ ছন্দে ব্যাট করেন। চারটি চারের সহায়তায় ৬০ বলে ৫১ রান করেন বাংলার অভিজ্ঞ তারকা। এই দুইয়ের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের দৌলতেই তৃতীয় দিনের সকালে দ্রুত রান তুলে নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপানোর হাতছানি রয়েছে বাংলার সামনে। এবার সব নজর বাংলার বোলারদের দিকে।


ধবনের কেরিয়ার শেষ?


শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ান ডে সিরিজ খেলবে ভারত (Ind vs SL)। দুটি সিরিজের জন্যই দল ঘোষণা করে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। দুই ফর্ম্যাটের জন্য দুটি আলাদা দল ঘোষণা করা হয়েছে। দুই দলেই কয়েকজন ক্রিকেটার থাকলেও, সুযোগ দেওয়া হয়েছে নতুন মুখদেরও। তবে অনেককেই বিস্মিত করেছে ওয়ান ডে দলে শিখর ধবনের না থাকায়। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ধবন। খেলেছেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজেও। তবে ব্যাটে রান নেই দিল্লির বাঁহাতি ক্রিকেটারের। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচে তাঁর রান যথাক্রমে ৭, ৮ ও ৩। লিটন দাসদের কাছে সিরিজ হেরে গিয়েছিল ভারত।


তারপরই ছেঁটে ফেলা হল ধবনকে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে শেষ ১০ ইনিংসে একটি মাত্র হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি। অন্যদিকে শুভমন গিল, ঈশান কিষাণরা ছন্দে রয়েছেন। ভারতীয় বোর্ড সূত্রে খবর, ৩৭ বছরের ধবন নয়, বরং তরুণ প্রজন্মের ওপরই লগ্নি করতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ধবনের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শেষ? পরের বছর দেশের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। সেই টুর্নামেন্টে ধবনকে দলে রাখার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কেউ কেউ বলছেন, বিশ্বকাপের দলে থাকার অপেক্ষা করতে পারেন ধবন। একান্তই সুযোগ না পেলে তিনি অবসরের সিদ্ধান্তও নিতে পারেন।


আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দিকে এক পা বাড়াল অস্ট্রেলিয়া