কলকাতা: বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (BOA Election) বিদায়ী প্রেসিডেন্ট তিনি। এবারের নির্বাচনেও তিনি ছিলেন ফেভারিট। হবেন না-ই বা কেন? স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ওরফে ময়দানের অন্যতম পরিচিত মুখ বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর একটা পরিচয়ও আছে। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) ছোট ভাই। সে যতই মমতা কিছুদিন আগে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কথা বলে থাকুন না কেন!
যদিও শুক্রবার বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে জোরাল ধাক্কা খেলেন বাবুন। প্রেসিডেন্ট পদে বড় ব্যবধানে হেরে গেলেন বেঙ্গল রোয়িং অ্যাসোসিয়েশনের সচিব চন্দন রায়চৌধুরীর কাছে। আর পরাজয়ের পরই বোমা ফাটালেন বাবুন। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন নিজের দাদা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। যিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দাদা।
পরাজয়ের পর বাবুন বলেছেন, 'সব খেলাতেই হার-জিত রয়েছে। আমি হয়তো নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে হেরেছি। তবে ময়দান ছেড়ে যাচ্ছি না। ময়দান ছেড়ে যাওয়ার লোক আমি নই।' তারপরই তাঁর বোমা, 'কিছু তো একটা হয়েছে বটেই। না হলে এই ফল হওয়ার কথা নয়। এ ব্যাপারে আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত। এটা দেখে নিতে হবে। পরে এ নিয়ে ভাবব।'
দাদার কোনও হাত রয়েছে এই ফলে? বাবুনের বক্তব্য, 'থাকতেই পারে। আমি ক্রীড়া প্রশাসনে এগিয়ে যাচ্ছি, সেটা দেখে হিংসা হতেই পারে। একশো শতাংশ হিংসা হচ্ছে দাদার। বিগত কয়েক বছর ধরেই এই ঘটনা ঘটে আসছে।'
শুক্রবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বেঙ্গল অলিম্পিক সংস্থার নির্বাচন ছিল। চার বছর আগে এই নির্বাচনকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছিল। বিশেষ করে সভাপতি পদের লড়াইকে ঘিরে। কারণ সেই পদে সেবার দাদা ও ভাইয়ের মুখোমুখি লড়াই লক্ষ্য করেছিল গোটা ময়দান। দাদা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই নির্বাচনে হারিয়ে বিওএ প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের নির্বাচনে অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলেও সভাপতির পদ নিয়ে লড়াইটা একইভাবে অব্যাহত। অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও নির্বাচন কমিশনার ছিলেন তিনিই। তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুন।
আরও পড়ুন: বন্ধুর প্রেমের প্রস্তাবে রাজি, স্নেহাশিস-কন্যার নতুন ইনিংস, খুশির হাওয়া সৌরভের পরিবারে