গ্রিন পার্ক: জমে উঠেছে বাংলা বনাম উত্তরপ্রদেশ রঞ্জি ম্যাচ। কানপুরের গ্রিন পার্কে আয়োজিত হচ্ছে এই ম্যাচ। দ্বিতীয় দিনের শেষে প্রথম ইনিংসে ১২২ রানের লিড নিয়েছিল বাংলা দল। তৃতীয় দিনের শেষে উত্তরপ্রদেশ দল ৫০ রানের লিড নিয়ে নিল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলার তরুণ পেসার মহম্মদ কাইফ। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৩ উইকেট নিয়ে একাই লড়ছেন বাংলার বোলারদের মধ্যে। তবে বাংলার পথে বাধা হয়ে উঠতে পারেন নাইট রাইডার্সের তারকা ব্যাটার নীতিশ রানাই। অপরাজিত ৪৭ রান করে ক্রিজে আছেন তিনি। 


প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল বাংলা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষে কোনও উইকেট না হারিয়েই ৪৬ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। এদিন সকালে ব্যাট করতে নেমেছিলেন ২ ওপেনার সামর্থ সিংহ ও আরিয়ান জুয়েল। দলের ৯৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় উত্তরপ্রদেশ। অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন সামর্থ। ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। প্রথম আঘাত হানেন সেই মহম্মদ কাইফই। ১১৯ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন আরিয়ান জুয়েল। তাঁকেও লেগবিফোর করে দেন কাইফ। প্রিয়ম গর্গও বেশিদূর এগোতে পারেননি। তিনি ১২ রান করে কাইফের তৃতীয় শিকার হন। করণ শর্মা ৪ রান করে সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের বলে ৪ রান করে আউট হন। 


উল্লেখ্য়, কানপুরের গ্রিন পার্কে সবুজ পিচে বাংলার বিরুদ্ধে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উত্তর প্রদেশ। পিচকে মাঠের থেকে আলাদা করতে পারছেন না অনেকে। ভুবনেশ্বর কুমার এই ম্যাচ খেলেই লাল বলের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটালেন। দীর্ঘ ৬ বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেললেন ভুবি। সঙ্গে অঙ্কিত রাজপুত, যশ দয়াল। উত্তর প্রদেশের রণকৌশল ছিল ঘাসের পিচে বাংলার ব্য়াটিং লাইন আপের পরীক্ষা নেওয়া। কিন্তু সেই কৌশল ব্যুমেরাং হয়ে ফেরে। টস হেরে যাওয়ায় কুয়াশা ভেজা পরিবেশে প্রথমে ব্যাট করতে হয়েছিল উত্তর প্রদেশকেই। এবং মাত্র ৬০ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের শেষে খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না বাংলাও। ৯৫ রানে হারিয়েছিল ৫ উইকেট। ৫ উইকেটই নিয়েছিলেন ভুবি।


শনিবার, ম্যাচের দ্বিতীয় দিন বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৮৮ রানে। ওপেনার শ্রেয়াংস ঘোষ ৪১ রান করেন। ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন কাইফ। ভুবনেশ্বর ৪১ রানে নিয়েছেন ৮ উইকেট।