টানা ছ’বার তিনি ছিলেন টেনিসে অলিম্পিকে ভারতের অন্যতম প্রতিনিধি৷ ১৯৯৬ সালে অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদকও জিতেছিলেন৷ কিন্তু সপ্তমবারের জন্য অলিম্পিকে যাওয়া নিয়ে বড় প্রশ্ন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজের৷
শেষপর্যন্ত সদ্য ফরাসি ওপেনজয়ী লিয়েন্ডার রিও অলিম্পিকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন কি না, তার অনেকটাই নির্ভর করছিল রোহন বোপান্নার উপর৷ কারন, অলিম্পিকে সরাসরি অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা পেয়েছিলেন রোহন বোপান্না৷ তাই তিনিই পছন্দ করতেন তার ডাবলস পার্টনার কে হবেন৷
সূত্রের খবর, টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের কাছে চিঠি লিখে বোপান্না বলেছেন, অলিম্পিকে পার্টনার হিসাবে তাঁর প্রথম পছন্দ সাকেত মিনানি৷ এই চিঠি পাওয়ার পর লি-র অলিম্পিক যাওয়া নিয়ে ঘোরতর সংশয়৷ যদিও টেনিস অ্যাসোশিয়েসনের বেশিরভাগ কর্তারাই বোপান্নার এই পছন্দকে মেনে নিতে পারছেন না বলে সূত্রের খবর৷ বরং তাঁদের পছন্দ লিয়েন্ডারই৷ কারণ, র্যাঙ্কিং ও দেশের হয়ে পারফরমেন্সের নিরিখে লি-র থেকে অনেক পিছিয়ে মিনেনি৷
এদিকে বৃহস্পতিবারই এক প্রশ্নের উত্তরে সানিয়া ঘুরিয়ে জানিয়েছিলেন, পার্টনার হিসাবে লিয়েন্ডারের চেয়ে বোপান্না বা সনমই তাঁর বেশি পছন্দের৷ প্রথমে সানিয়া, পরে বোপান্না৷ জোড়া টেনিস খেলোয়াড় লি-কে পার্টনার হিসেবে না চাওয়ায় চাপে এআইটিএ৷
শনিবার বৈঠকে বসবে টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষকর্তারা৷ সেখানেই স্থির হবে চিরসবুজ লিয়েন্ডারের ভাগ্য৷ লিয়েন্ডার অবশ্য নির্বাচন কমিটির উপর আস্থা রেখেছেন৷ সূত্রের খবর, টেনিসকর্তাদের মানসিকতায় যদি কোনও বদল না ঘটে, তবে বোপান্নার পছন্দে সিলমোহর পড়ার সম্ভাবণা কম৷ রিও-র বিমান ধরার সম্ভাবণা লি-র৷ যা চূড়ান্ত হবে শনিবারের বারবেলায়৷