নয়াদিল্লি: আইপিএলে ১৬ ম্যাচে ১৯ উইকেট। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয়ের নায়ক। সেই যশপ্রীত বুমরা এবার বড় সার্টিফিকেট পেয়ে গেলেন। তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন কিংবদন্তি জেফ থমসন। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় পেসার বললেন, বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ দলকে গতির আগুনে ছারখার করে দিতে পারেন বুমরা।


থমসন নিজে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্টবোলার। গতি দিয়ে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করে ছাড়তেন। স্বাভাবিকভাবেই গতিকে তিনি বরাবরই ফাস্টবোলারদের অন্যতম প্রধান অস্ত্র মনে করেন এবং বুমরার গতি দেখে তিনি মুগ্ধ।

আইপিএল ফাইনালের পর মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর বুমরাকে বিশ্বের সেরা বোলার হিসাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। এবার গুজরাতের পেসারকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত থমসনও। নতুন বলে ডেনিস লিলির প্রাক্তন পার্টনার বলেছেন, 'বুমরা অসাধারণ। ওর সেরাটা এখনও বাকি রয়েছে। ওর বলের গতি যে কোনও বিপক্ষকে ছারখার করে দিতে পারে। পাশাপাশি ও বলের গতির চমৎকার তারতম্য ঘটায়। তাই মাঝে মধ্যে ওর বোলিং বুঝতে পারাটা ভীষণ কঠিন হয়ে যায়। আমি এমন কোনও ব্যাটসম্যানকে দেখিনি যে ওকে ভালভাবে বুঝতে পারছে। ওর বোলিং অ্যাকশন বেশ ব্যতিক্রমী এবং সেজন্য বুমরা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।'

থমসনের মতে, বিশ্বকাপে কাগিসো রাবাডা ও বুমরাই হয়ে উঠতে পারেন সেরা দুই পেসার। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ককে নিয়েও আশাবাদী তিনি। যদিও স্টার্কের ফর্ম নিয়ে উদ্বিগ্ন থমসন। বলেছেন, 'আশা করছি বিশ্বকাপে মিচেল স্টার্ক ছন্দে থাকবে। স্টার্ক যদি নিজের দক্ষতা অনুযায়ী বল করতে পারে, বিশ্বের যে কোনও ভাল পেসারের সমকক্ষ। ও অস্ট্রেলিয়া দলের সম্পদ। ওকে গতির পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণের দিকেও নজর রাখতে হবে।'

পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপের দলে জস হ্যাজলউডকে না দেখে বিরক্ত থমসন। বলেছেন, 'প্যাট কামিন্স আমার চোখে খারাপ নয়। প্রতিভা রয়েছে। আমাদের দলে হ্যাজলউড নেই। ওকে রাখা উচিত ছিল।' সঙ্গে যোগ করেছেন, 'তবে আমাদের বোলিং আক্রমণ বেশ ভাল।'