কোপেনহেগেন: বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের (BWF World Championships) প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলেন ভারতের তারকা শাটলার জুটি সাত্ত্বিকসাইরাজ রঙ্কিরেড্ডি (Satwiksairaj Rankireddy) ও চিরাগ শেট্টি (Chirag Shetty)। জি হোই চো ও মিং চুয়েন লিমের বিরুদ্ধে মাত্র ৩০ মিনিটের ম্যাচে স্ট্রেট গেমে সগড জয় পেল ভারতীয় শাটলার জুটি। ম্যাচের স্কোরলাইন ভারতীয়দের পক্ষে ২১-১৬, ২১-৯।
অপরদিকে, ভারতীয় মহিলা শাটলার জুটি টেরেসা জলি (Teressa Jolly) ও গায়েত্রী গোপীচাঁদও (Gayatri Gopichand) জয় পান। তাঁরা চ্যাং চিং হুই এবং ইয়াং চিং তুন জুটিকে পরাস্ত করেন। ম্যাচের স্কোরলাইন ২১-১৮, ২১-১০। বিশ্বের ১৯ নম্বর মহিলা ডাবলস জুটি গায়েত্রী ও টেরেসার ম্যাচ জিততে ৩৮ মিনিট সময় লাগে। ম্যাচের শুরুতে ভারতীয় শাটলারজুটি ২-৫ পিছিয়ে পড়ে। তবে লম্বা ব়্যালি খেলার তাঁদের পরিকল্পনা কাজে লাগে। ভুল করতে শুরু করেন প্রতিপক্ষরা। তাইয়ানের জুটির বিরুদ্ধে ১১-৯ এগিয়ে যান গায়েত্রীরা। বিরতির পর খেলা শুরু হলে টেরেসা কিছু ভুলত্রুটি করলেও, ভারতীয় জুটি লিড ধরে রাখতে সক্ষম হন এবং প্রথম গেমও জিতে নেন।
দ্বিতীয় গেমেও ভারতীয়রা নিজেদের দাপট দেখান। আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলে তাঁরা ১৪-৮ লিড নিতে সক্ষম হন। নিজেদের এই আগ্রাসী ব্যাডমিন্টন ও প্রতিপক্ষের ভুলে ভারতীয় দল সহজেই দ্বিতীয় গেম বড় ব্যবধানে জিতে ম্যাচও জিতে নেয়। পরের রাউন্ডে কিন্তু ভারতীয় শাটলারদের বেশ কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হবে। তাঁরা শেষ আটে পৌঁছনোর লক্ষ্যে টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই চেন চেন ও জিয়া ফানের মুখোমুখি হবেন।
ব়্যাঙ্কিংয়ের বিচারে ভারতের সেরা পুরুষ শাটলার জুটি সাত্ত্বিক ও চিরাগের লড়াইটা বিশ্বের ১৫৬ নম্বর জুটির বিরুদ্ধে তুলনামূলক অনেকটাই সহজ ছিল। সাত্ত্বিক ও চিরাগ এই বছরে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই সুইস ওপেন, ইন্দোনেশিয়া ওপেন এবং কোরিয়া ওপেন মিলিয়ে মোট তিনটি বিডব্লুএফ ট্যুর খেতাব জিতে নিয়েছেন সাত্ত্বিকরা। প্রথম ভারতীয় জুটি হিসাবে বিডব্লুএফ ১০০০ খেতাব জিতে রচনা করেছেন ইতিহাসও। তাঁদের সেই দুরন্ত ফর্ম বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপেও অব্যাহত। টুর্নামেন্টে স্বর্ণপদক জয়ের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারতীয় তারকা শাটলার জুটি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: গেম ২ ড্র করাই ছিল লক্ষ্য, কার্লসেনের পরিকল্পনা শুরুতেই বুঝে গিয়েছিলেন প্রজ্ঞাননন্দ!