কলকাতা: মিনি ডার্বি। আর তাতে হার ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) রানার্স আপ দলের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল মহমেডান এসসি (Mohammedan SC)। সুপার সিক্সের (Super Six) লড়াইয়ে ২-১ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে দিল মহমেডান এসসি। ম্য়াচের পর ২ দলের ফুটবলাররা ঝামেলা ও হাতাহাতিতেও জড়ালেন। যার জন্য শেষ পর্যন্ত মাঠে নামতে হল দলের কর্তাদেরও। 


সুপার সিক্সে এটা ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ ছিল। অন্যদিকে মহমেডানের কাছে এদিন দ্বিতীয় ম্য়াচ ছিল। এর আগে খিদিরপুরের বিরুদ্ধে নিজেদের ঘরের মাঠে ৫-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল সাদা কালো ব্রিগেড। এদিন খেলার শুরুতেই গোল পেয়ে গিয়েছিল মহমেডান। মাত্র ৫ মিনিটের মাথায় ডেভিডের গোলে এগিয়ে যায় মহমেডান। মহমেডানের দ্বিতীয় গোলটিও আসে ডেভিড লালানসাঙ্গার পা থেকেই। এই নিয়ে মরশুমে ১৭টি গোল করে ফেললেন ডেভিড। খেলার ১৯ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক অতুল উন্নিকৃষ্ণণের দুরন্ত ভলি মহমেডানের গোলরক্ষক পদম। তিন মিনিট পরেই আক্রমণ মহমেডানের। এ বার ভাল বাঁচান লাল-হলুদ গোলরক্ষক কমলজিৎ সিংহ। ২৩ মিনিটের মাথায় খানিকটা বৃষ্টি শুরু হয়। লাল হলুদ ফুটবলাররা ক্রমেই মহমেডানের রক্ষণ ভেদ করার চেষ্টা করছিলেন। তবে এরইমধ্যে ৩৯ মিনিটের মাথায় ফের গোল করে ব্য়বধান দ্বিগুণ করেন ডেভিড। হাফটাইম পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল শিবির। 


দ্বিতীয়ার্ধে ৫৮ মিনিটের মাথায় ব্য়বধান কমানোর সুযোগ পায় লাল হলুদ শিবির। বক্সের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের শৌভিক চক্রবর্তীর শট মহমেডানের ইরশাদের হাতে লাগে। পেনাল্টি পায় লাল-হলুদ। ইরশাদকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন নন্দকুমার। শেষের দিকে প্রায় ৩২ মিনিটের মত ১০ জনে খেলেছিল মহমেডান। কিন্তু সেখান থেকে গোল করতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা।


এদিকে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটায় কোচির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি ও বেঙ্গালুরু এফসি-র মধ্যে ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে চলেছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের দশম মরশুম। যে দিন গুলোতে দুটি করে ম্যাচ থাকবে, সে দিন প্রথম ম্যাচ শুরু হবে বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে।


কেরালা ব্লাস্টার্স ও বেঙ্গালুরু এফসি প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে আগামীকাল। এবারের আইএসএলের বিস্তৃত টিভি সম্প্রচার হতে চলেছে আটটি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে। এ ছাড়া জিও সিনেমা অ্যাপে সব ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং দেখতে পাবেন একেবারে নিখরচায়। সারা দেশের ফুটবলপ্রেমীরা ইংলিশ, হিন্দি, বাংলা ও মালয়ালাম ভাষায় ম্যাচগুলির ধারাভাষ্য শুনতে পাবেন।