কলকাতা: তিনি যে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal) সাফল্য এনে দিতেই কলকাতায় এসেছেন, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন অস্ট্রেলীয় ডিফেন্ডার জর্ডন এলসি। পারথ্ গ্লোরি থেকে কলকাতার ইস্টবেঙ্গলে আসার পর থেকেই সমর্থকদের মনে ছাপ ফেলেছেন এই ডিফেন্ডার। ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলার তো যথেষ্ট দায়িত্ব নিয়ে রক্ষণ সামলাচ্ছেনই, তার ওপর চলতি ডুরান্ড কাপের (Durand Cup Semifinal) কোয়ার্টার ফাইনালে গোকুলাম কেরালা এফসি-র বিরুদ্ধে প্রথম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে সমর্থকদের মনও জয় করে নিয়েছেন।

সমর্থকেরা (East Bengal Fans) যে ভাবে দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং প্রতি ম্যাচে তাঁদের জন্য গলা ফাটাচ্ছেন, তা দেখে মুগ্ধ ও কৃতজ্ঞ এলসি। ক্লাবের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেন, “আমি এখানে এসে সময়টা খুব উপভোগ করছি। এখানে আসার আগে আমি সমর্থকদের সম্পর্কে অনেকের কাছ থেকে অনেক কিছু শুনেছিলাম। ওরা কতটা ফুটবলপাগল ও আবেগপ্রবণ, সবই শুনেছিলাম। তখন বুঝতে পারিনি, ঠিক কতটা পাগল ওরা। কিন্তু এখানে এসে ডার্বিতে বুঝতে পারি, সত্যিই কতটা তীব্র আবেগ রয়েছে ওদের মধ্যে”।

এলসি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন গত ম্যাচে প্রথম মিনিটেই অসাধারণ এক গোল করায়। সে দিন যুবভারতীতে রীতিমতো পরিকল্পিত গোল করেন এলসি। যেমন অনুশীলনের মাঠে তাঁরা করে থাকেন। ডানদিক থেকে ছোট কর্নারের পর বোরহা হেরেরার ক্রস উড়ে যায় বক্সের সামনের দিকে। ওখানে ছিলেন মহেশ সিং, যিনি হেড করে বল পাঠিয়ে দেন গোলের সামনে এলসির কাছে। অসাধারণ হেডে এলসি বল জালে জড়িয়ে দেন। ঘটনার আকস্মিকতায় থতমত খেয়ে যানগোকুলামের ফুটবলাররা এবং স্টেডিয়ামের গ্যালারি উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। এই গোলের পর থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কার্যত লাল-হলুদ বাহিনীর হাতে চলে যায়।


এই গোলের পর থেকেই তাঁকে নিয়ে সমর্থকদের আগ্রহ আরও বেড়ে গিয়েছে এবং এলসিও ব্যাপারটা দারুন উপভোগ করছেন। বলেন, “যে দিন থেকে কলকাতায় এসেছি, আমার মনে হচ্ছে এই সমর্থকদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেকদিনের। এই দলের জন্য ভাল পারফরম্যান্স দেখানোর ইচ্ছেটা খুব বেড়ে গিয়েছে। কুব উপভোগ্য অভিজ্ঞতা হচ্ছে আমার”।

ডুরান্ড কাপে নামার পর থেকে একটিও ম্যাচ হারেনি ইস্টবেঙ্গল এফসি। এ মরশুমের আগে দলে যোগ দেওয়া স্প্যানিশ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাতের প্রশিক্ষণে দলটার মধ্যে ফের চনমনে ভাব দেখা গিয়েছে। গত তিন বছর ব্যর্থতার অন্ধকারে ডুবে থাকার পর এই মরশুম থেকে যে ফের আলোয় আসতে শুরু করেছে তারা, তা বোঝা যায় মরশুমের প্রথম ডার্বি থেকেই। সাড়ে চার বছর পর চিরপ্রতিদ্বন্দী মোহনবাগান এসজি-কে হারায় তারা। তাই এই মরশুমের দলের ওপর ফের আশায় বুক বাঁধা শুরু করেছে লাল-হলুদ সমর্থকেরা।                                                                                                                             তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল মিডিয়া