নয়াদিল্লি: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার আগে ভারতীয় দল যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাওস্কর। তাঁর মতে, এজবাস্টন টেস্টের আগে উপযুক্ত অনুশীলনের অভাবেই সমস্যায় পড়তে হয় ভারতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের। স্যুইং বলের সামনে তাঁদের দুর্বল টেকনিক প্রকট হয়ে গিয়েছে।

পাঁচ টেস্টের সিরিজ শুরু হওয়ার আগে ভারতীয় দল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’টি টি-২০ ম্যাচ এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি করে টি-২০ ও একদিনের ম্যাচ খেলে। ইংল্যান্ড সফরের একমাত্র প্রথম শ্রেণির ম্যাচটিতেও বদল আনে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। চারদিনের বদলে তিনদিনের ম্যাচ করাই শুধু নয়, ১৮ জন খেলোয়াড়কে মাঠে নামিয়ে ম্যাচটিকে অনুশীলন পর্বে পরিণত করে ভারতীয় দল। এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ গাওস্কর। তিনি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘ভারতীয় দল কোনও প্রস্তুতিই নেয়নি। আমি জানি একটা সিরিজের পর অন্য একটি সিরিজের জন্য তৈরি হতে সময় লাগে। কিন্তু টানা পাঁচদিনের বিরতি মানা যায় না। ম্যাচের মাঝখানে তিনদিন করে বিরতি হতে পারে। কিন্তু সেটা টানা পাঁচদিন হতে পারে না। অন্তত দু’টি তিনদিনের ম্যাচ এবং একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা উচিত ছিল। ১৮ জন নয়, ১১ জনকে মাঠে নামানো উচিত ছিল। এমনভাবে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল, যাতে প্রথম টেস্টে জয় পাওয়া যায়। ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও প্রস্ততি ম্যাচ বাতিল করে দেয়। এর ফলে প্রথম দু’টি টেস্টেই হারতে হয়। ওরা ধরে নিয়েছিল, ইংল্যান্ডে এক মাস থাকতে হবে। ওরা সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছিল। সেটার ব্যাটের গতি লাল বলের ক্রিকেটের চেয়ে আলাদা। তাই প্রস্তুতিই হয়নি।’

ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি যেভাবে প্রস্তুতি নেন, সেটা অন্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না বলেই মত গাওস্করের। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘কোহলি ৫০ দিন বিশ্রাম নিয়ে ফিরে এসে পরের দিনই শতরান করতে পারে। ও বিরল প্রতিভাবান। তাই ও বিশ্রাম নিলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টকে বুঝতে হবে, অন্যদের অনুশীলন করতে হবে।’

কোহলির প্রশংসা করলেও, তিনি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ না খেলে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেটি ভুল বলেই মনে করেন গাওস্কর। তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ থেকে ভারতীয় দলে একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যানকে রাখা উচিত।