মুম্বই: মধ্যরাতে বিস্ফোরণ অনিল কুম্বলের!
টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন ‘জাম্বো’। সাফ জানিয়ে দিলেন, অধিনায়ক বিরাট কোহবলির সঙ্গে তাঁর বনিবনা না হওয়ার জেরেই তিনি পদত্যাগ করছেন।
অধিনায়ক কোহালির সঙ্গে যে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেই নিয়ে জল্পনা ছিলই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুর আগে থেকেই কোচ-ক্যাপ্টেন কাজিয়া ঘিরে ভারতীয় শিবির ছিল উত্তপ্ত। টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে, ততই বেড়েছে দূরত্ব। কমেছে দুজনের মধ্যে কথা। নেটে অনুশীলন হোক বা ম্যাচ চলাকালীন ড্রেসিংরুম। কুম্বলের সঙ্গে একবারও কথা বলতে দেখা যায়নি কোহলিকে।
কিন্তু, এতদিন তা স্রেফ কানাঘুষোতেই সীমাবদ্ধ ছিল। কোহলি কুম্বলে বা ভারতীয় ক্রিকেটের অন্য কেউ-- এবিষয়ে মুখ খোলেননি। কিন্তু, এদিন পদত্যাগ করার পর যেন ‘ফ্রি-হিট’ পেয়ে যান কুম্বলে। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন কোহলিকে। তিনি লেখেন, ‘সিএসি হেড কোচ হিসেবে আমাকে রেখে দিয়ে আমার ওপর যে আস্থা দেখিয়েছে, তার জন্য আমি সম্মানিত। গত এক বছর ধরে দল যা সাফল্য পেয়েছে, তার কৃতিত্ব অধিনায়ক, গোটা দল এবং কোচিং ও সাপোর্ট স্টাফদের।



কিন্তু, গতকাল বোর্ডের তরফে আচমকা আমাকে জানানো হল যে, অধিনায়কের আমার ‘স্টাইল’ এবং আমার প্রধান কোচ হিসেবে আমার চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। আমি অবাকই হয়েছি। কারণ, আমি সর্বদা অধিনায়ক ও কোচের ভূমিকার সীমারেখাকে সম্মান করে এসেছি। যদিও, বিসিসিআই অধিনায়কের সঙ্গে আমার এই ভুল বোঝাবুঝিকে মেটানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু, একটা বিষয়ে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, তা হল এই পার্টনারশিপ (কোচ ও অধিনায়ক) আর চলবে না। তাই আমি স্থির করি, এগিয়ে যাওয়াটাই ঠিক হবে।
পেশাদারিত্ব, নিয়মানুবর্তিতা, দায়বদ্ধতা, সততা, দক্ষতা এবং চিন্তায় বহুমুখীতা আমি এনেছিলাম। যে কোনও সম্পর্কের সাফল্যের জন্য এই বিষয়গুলিকে সম্মান জানানো উচিত। দলের সামনে আয়না তুলে ধরা, যাতে তারা ক্রমশ উন্নতি করতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে, সিএসি ও বোর্ড যাকে ঠিক মনে করবে, তার হাতেই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত।
আমি আবারও বলতে চাই, গত এক বছর ধরে দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করাটা আমার কাছে সম্মানের ছিল। এর জন্য আমি সিএসি, বিসিসিআই ও সিওএ-কে ধন্যবাদ জানাই।
একইসঙ্গে, আমি ভারতীয় ক্রিকেটের অসংখ্য ভক্ত, অনুগামীকে তাঁদের ক্রমাগত সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। চিরকাল দেশের বিরাট ক্রিকেটীয় ঐতিহ্যের শুভান্যুধায়ী হয়ে থাকব।’