চেন্নাই: আইএসএলে চেন্নাইয়িন এফসি দল বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক মনতোষ চাকলাদার। সন্তোষ ট্রফিতে (Santosh Trophy) রানার্স আপ বাংলা দলের অধিনায়ক ছিলেন মনতোষ। বাংলার রক্ষণে মূল ভরসা ছিলেন মনতোষ। ৭৫ তম সন্তোষ ট্রফির ফাইনালেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন দলের জন্য। যদিও অল্পের জন্য বিজয়ী দলের অধিনায়ক হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেননি।


কী বলছেন মনতোষ?


আইএসএলে দলে সুযোগ পেয়ে মনতোষ চাকলাদার বলেন, ''আমি ভীষণভাবে উত্তেজিত। প্রথমবার আইএসএলে খেলার সুযোগ পেলাম। এবার আমার একটাই লক্ষ্য কঠিন পরিশ্রম করলাম, অনুশীলন করলাম যাতে প্রথম একাদশে সুযোগ পেতে পারি। চেন্নাইয়িন এফসি ২ বার আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবার আমার লক্ষ্য এই দলের হয়ে খেতাব জয় করা।''


কলকাতার স্পোর্টিং ইউনিয়নের হয়ে খেলতেন মনতোষ। এরপর সেখান থেকে তিনি সুযোগ পান মহমেডান এফসিতে। ২০১৭-১৮ ২ মরসুম আই লিগেও খেলেছেন। এরপর বাংলা দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হন। সন্তোষে ফাইনালে তুললেও লক্ষ্যপূরণ করতে পারেননি এই তরুণ ডিফেন্ডার। পাঠচক্র এফসি, গোকুলাম কেরালাতে খেলার পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মনতোষের। ২০১৯ সালে পিয়ারলেসের জার্সিতে কলকাতা ফুটবল লিগ জিতেছেন চাকলাদার। 


ঘরের মাঠে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব


এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে গ্রুপ ডি-র খেলাগুলি আগামী সপ্তাহে হবে কলকাতায়। এই গ্রুপে ভারত ছাড়াও রয়েছে হংকং, আফগানিস্তান ও কম্বোডিয়া। এরা প্রত্যেকেই ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের নীচে রয়েছে। চলতি মাসের ৮, ১১ ও ১৪ তারিখে এই ম্যাচগুলি হবে। তার আগে প্রস্তুতির শেষ পর্ব চলছে ভারতীয় দলে।


কলকাতায় আসন্ন এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে দেশের সমর্থকদের সামনে খেলাই তাঁদের বাড়তি সুবিধা জোগাবে বলে মনে করেন ভারতীয় দলের তারকা ফরোয়ার্ড লিস্টন কোলাসো। কলকাতায় ম্যাচগুলি পড়ায় তাই তিনি বেশ খুশি এবং সতীর্থরা এই তিন ম্যাচে সাফল্য অর্জনের জন্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বলেই তাঁর ধারণা।


এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে ছ’টি গ্রুপের জয়ীরা যেমন মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, তেমনই দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দলগুলির মধ্যে থেকে সেরা পাঁচটি দলকে মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হবে। তবে গ্রুপের সেরা দল হিসেবেই মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে চান তরুণ তারকা কোলাসো।