নয়াদিল্লি: মাস তিনেক আগেই ভারতীয় ক্রিকেটে শোরগোল ফেলে দিয়ে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন চেতন শর্মা (Chetan Sharma)। এক স্টিং অপারেশনে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর পরেই ইস্তফা দেন চেতন। এবার সেই ঘটনার পর অবশেষে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করলেন তিনি। একরাশ হতাশা উগরে দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
চেতন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'জীবনটা খুবই কঠিনভাবে কাটছে। কাছের মানুষদের থেকেও কোনও আশা ভরসা নেই। আশা করছি আমার ওপর ঈশ্বর কৃপা করবেন।' প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা নির্বাচকের এহেন পোস্টে সোশ্যাল মিডিয়া দ্বিধাবিভক্ত। কেউ কেউ চেতন শর্মার প্রতি সহানুভূতি দেখান, আবার কেউ কেউ তাঁর সমালোচনা করতেও পিছপা হননি।
ঘটনাটি ঠিক কী ঘটেছিল? ঠিক কোন কারণে জাতীয় নির্বাচকের পদ থেকে ইস্তফা দিতে কার্যত বাধ্য হন চেতন? চেতনকে এক ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, 'সৌরভ এবং বিরাটের মধ্যে একটা ইগোর লড়াই ছিল। সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি থাকার সময় বিরাট দলের অধিনায়ক ছিলেন। কে বড় তা নিয়ে একটা লড়াই ছিল।'' শুধু এখানেই শেষ নয়। চেতন বলেছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনেকেই ইঞ্জেকশন নিয়ে মাঠে নামেন। সেইসব ইঞ্জেকশন নিষিদ্ধ নয় বলে ডোপ পরীক্ষায় পার পেয়ে যান। প্রধান নির্বাচকের যে মন্তব্য ঝড় তুলেছিল। আর তারপর থেকেই চেতনের ওপর চাপ তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ইস্তফাই দিতে হল চেতনকে।
উল্লেখ্য, বিরাট কোহলি ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে এই টুর্নামেন্টটি হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে তার শেষ অধ্যায়। কিন্তু তিনি একবারও বলেননি যে তিনি ওয়ান ডে অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান। কিন্তু ওই বিশ্বকাপে ভারতের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর বিরাট কোহলিকে ওয়ান ডে অধিনায়ক হিসাবেও আর দেখতে চাননি নির্বাচকরা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগে বিরাট সৌরভের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে প্রাক্তন বোর্ড সভাপতিই না কি তাঁকে অধিনায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলেছিলেন। যদিও সেই মন্তব্য মিথ্যে বলে জানিয়েছেন চেতন শর্মা। এমনকী চেতন শর্মা এমনও জানিয়েছেন যে বিরাটের বদলে রোহিতকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়ে আগে থেকে সৌরভের কোনও ভাবনাচিন্তাই ছিল না।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি পরবর্তী পর্যায়ে দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য মেনুতে কোন কোন খাবার অবশ্যই রাখবেন?