রিও দে জেনেইরো: কোপা আমেরিকার ফাইনালে রবিবার ভারতীয় সময় ভোরে ব্রাজ়িলের বিরুদ্ধে আর্জেন্তিনার খেলাই হতো না, যদি না সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে গোলপোস্টের তলায় দুর্ভেদ্য হয়ে উঠতেন তিনি। টাইব্রেকারে লিওনেল মেসির দলের জয়ের নায়ক। এমিলিয়ানো মার্তিনেজ়।
ফাইনালের আগে যিনি বলে দিলেন, ব্রাজ়িলের বিরুদ্ধে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে ঝাঁপাবেন। যিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মেয়ের জন্মদিনে থাকতে পারেননি। মার্তিনেজ় বলেছেন, 'আমি মেয়ের জন্মদিনে থাকতে পারব না জানতাম। তাতেই মানসিকভাবে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে উঠেছি। মনোবিদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম যাতে আর্জেন্তিনার হয়ে নিজের একশো শতাংশ দিতে পারি। অধিনায়কও অনেক সাহায্য করেছে। মাঠে আমি উপভোগ করছি।'
আর্জেন্তিনার জয়ের নায়ক মার্তিনেজ়ের এক সময় কোপা আমেরিকায় খেলাই অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক আগে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী ম্য়াচে ঘাড়ে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন অ্যাস্টন ভিলার হয়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলা গোলকিপার। তবে ফিট হয়ে তিনিই কোপা আমেরিকায় আর্জেন্তিনার গোলপোস্ট পাহারা দিচ্ছেন। এবং সেমিফাইনালে কলম্বিয়াকে দুহাতে দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছেন।
যে ম্যাচের পর থেকে চর্চা চলছে টাইব্রেকারে কলম্বিয়া ফুটবলারদের সঙ্গে মার্তিনেজ়ের অবিরাম কথা বলা নিয়ে। পেনাল্টি শ্যুট আউটের সময় প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলে মনঃসংযোগ নষ্ট করার চেষ্টা করছিলেন মার্তিনেজ়। তাতে তিনি সফলও হন। যা নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছে। আর্জেন্তিনার গোলরক্ষক বলেছেন, 'অনেক গোলকিপার আছে যারা পেনাল্টি রক্ষা করার সময় প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের পায়ের নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করে, মনোনিবেশ করে। আমরাও গোলকিপার কোচের সঙ্গে সে সবই করি। আমি প্রতিপক্ষদের জরিপ করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে রাতটা আমার ছিল। আর সত্যি কথা বলতে কী, কে কী বলল তাতে আমি পরোয়া করি না। আমি জানি আমার কাজ হল রক্ষণভাগের ফুটবলারদের সাহায্য করা।'
মার্তিনেজ় যোগ করেছেন, 'বহু বছর ধরে আমরা মারাকানায় একটা ফাইনাল খেলার অপেক্ষায় ছিলাম। ফাইনালে নিজেদের সর্বস্ব দেব। আর্জেন্তিনার হয়ে একটা ট্রফি জয় আমার স্বপ্ন। আর সেই সুযোগের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতাম মারাকানায় একটা ফাইনাল খেলার। গোটা দেশ চায় আমরা ব্রাজ়িলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হই।'