কলকাতা: ১৮৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই রানের পাহাড় টপকাতে পারলেই ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ক্যাবিনেটে শোভা পেত প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি। তবে এবারের মতো সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। শেফালি বর্মার (২) শুরুতেই ফিরে যাওয়া, তানিয়া ভাটিয়ার (২) রিটায়র্ড হার্ট হওয়া আর জেমাইমা রডরিগেজের (০) রান না পাওয়া এবং অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউরের (৪) ব্যাটে খরা, এসবের পরও বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন? ৫৫ রানে ৪ উইকেটের পতনের পর এই স্বপ্নের সলিল সমাধি দেখেছিল শেফালি। ষোড়শীর চোখে এসেছিল জল। রবিবার টেলিভিশন স্ক্রিনে ভেসে উঠেছিল সেই ছবি। কয়েক দিন আগে ঠিক একই রকম ছবিতে হৃদয় ভেঙেছিল ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীদের। শেষে এসে তরী ডোবা যাকে বলে। যশস্বী যয়সওয়ালের আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা আর মুখ ঢেকে শেফালির কান্না, এই দুই ফ্রেমই হৃদয় বিদারক মুহূর্ত। ফাইনালে উঠে হেরে যাওয়ার দুঃখ আবার একই সঙ্গে লড়াই করে এতো দূর আসার জয়গাথা, রবিবার ভারতীয়দের কাছে ছিল অম্লমধুর এক মুহূর্ত।


সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিরাট কোহলিরা ভারতীয় মহিলা দলের এই লড়াইকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন। তাঁদের বিশ্বাস এই মহিলা দল নিশ্চিতভাবে ঘুরে দাঁড়াবে এবং জিতবে। ফাইনালে পৌঁছনোর জন্য দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিষাণ সিংহ বেদিও। তবে ক্রিকেটাররা জনসমক্ষে চোখের জল ফেলুক, তিনি তা চান না। ট্যুইটে তাঁর অনুরোধ, “মেয়েরা চেষ্টা করে জনসমক্ষে না কাঁদার। কোনও হারের পরই কেঁদো না। চোখের জল ব্যক্তিগত সম্পত্তি।”





বিষাণ সিংহ বেদির এই ট্যুইটে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে নেটিজেনরা। কান্নায় কোনও অপরাধ নেই। মানুষ যন্ত্র নয়, আবেগ থেকেই কেঁদে ফেলে। মেয়েরা কাঁদলে তা কখনই লজ্জার নয়। এমন একাধিক তীক্ষ্ণ ট্যুইটে কিংবদন্তীকে বিঁধেছেন নেটিজেনরা।