ব্রিসবেন: তিনি ভারতীয় দলের কোচ থাকাকালিনই তাঁর সঙ্গে ঝামেলা লেগেছিল বিরাট কোহলির। তাঁকে সরিয়ে নিজের পছন্দের রবি শাস্ত্রীকে কোচ হিসেবে চেয়েছিলেন। সেই মত পরে অনিল কুম্বলে নিজে সরেমাঝে এতগুলো বছর সেই ইস্যুতে কোনও মন্তব্য করেননি ভারতের প্রাক্তন এই কিংবদন্তি লেগস্পিনার। এতদিন পরে শেষ পর্যন্তও দাঁড়ান কোচের পদ থেকে। বিরাট কোহলিকে ও তাঁর পারফরম্য়ান্স নিয়ে মুখ খুললেন অনিল কুম্বলে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্য়াডিলেডে একটি শতরান ছাড়া বিরাটের তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য় পারফরম্য়ান্স নেই। এমনকী গাব্বায় যেভাবে চতুর্থ স্টাম্পের বাইরের বলে আউট হলেন তাতে ক্ষেপেছেন অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারও। সেই তালিকায় আছেন অনিল কুম্বলেও।
সূত্রের খবর, স্থানীয় সংবাদমাধ্য়মে কুম্বলে নাকি বলেছেন, ''বিরাট কোহলি দীর্ঘদিন ধরেই ফর্মে নেই। গত ৪-৫ বছরে টেস্টে তো রানই করতে পারেনি সেভাবে। আমি জানি না কেন ওকে নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠছে না। আমি তো বলব এখন ওর সময় এসেছে ব্যাগ গুছিয়ে পাকাপাকি লন্ডনে বসবাস শুরু করতে।'' উল্লেখ্য, বিরাটের চলতি বছরে ব্যাট থেকে ৯ টেস্টে এসেছে মাত্র ৩৭৬ রান। গড় ২৫.০৬।
কোহলির জন্য অস্ট্রেলিয়া যে ফাঁদ পাতছে, তাতে বারবার পা দিতে দেখে অবাক গাওস্কর। লিটল মাস্টার ম্যাচের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে বলেছেন, 'আমার মনে হয় কোহলির যেটা করা উচিত সেটা হল ২০০৪ সালে সচিন তেন্ডুলকর যা করেছিল সেটা দেখা। প্রথম তিন টেস্টে অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট বাড়িয়ে আউট হচ্ছিল সচিন। কখনও স্লিপে, কখনও শর্ট গালিতে। সিডনি টেস্টের আগে ও ঠিক করে নিয়েছিল কিছুতেই কভার অঞ্চলে শট খেলবে না।সব শট খেলবে বোলারের ফলো থ্রু বা মিড অফের ফিল্ডারের ডানদিকে। এবং লেগসাইডে যে কোনও জায়গায়। সেটাই দাওয়াই। সেই টেস্টে ও কভার ড্রাইভ কার্যত খেলেনি। যত দূর মনে পড়ে ২০০ বা ২২০ করে ফেলার পর একটা কভার কভার ড্রাইভ মেরেছিল। মনের এইরকম সংযমই জরুরি।'
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর তো আবার ভারতের ব্যাটিং কোচকেই দুষেছেন। নিজের সোশ্য়াল মিডিয়ায় মঞ্জরেকর লিখেছেন, ''আমার মনে হয় এবার সময় এসেছে বোর্ডকে ভাবার যে ব্যাটিং কোচের ভূমিকা কী তা নিশ্চিত করতে। এত ভুল শট খেলছে ব্যাটাররা। তাহলে ব্যাটিং কোচ কী কাজ করছেন? টেকনিক্যাল ভুুলগুলো এখনও ঠিক করে তোলা সম্ভব হচ্ছে না কেন?''