আলুর: ২২ বছর আগে সচিন তেন্ডলুকরের বলে এনকেপি সালভে চ্যালেঞ্জার্স ট্রফিতে আউট হয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। তারপর গঙ্গা দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। দুই দশকেরও বেশি সময় পরে ফের একবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটল। আবারও তেন্ডুলকরের বলে আউট হলেন দ্রাবিড়। তবে এবার সচিনের বলে রাহুল নয়, বরং সচিন-পুত্র অর্জুনের বলে রাহুলের ছেলে সমিত (Samit Dravid) আউট হলেন।

Continues below advertisement

আলুরে কে থিমপাইয়া মেমোরিয়াল টুর্নামেন্টের ম্যাচে গোয়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন অর্জুন। সেখানে কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন একাদশের বিরুদ্ধে ৩৩৮ রানে অল আউট হয়ে যায় গোয়া। অর্জুন মাত্র নয় রান করেন। জবাবে কর্ণাটক ৫৩ রানে এক উইকেট থেকে ৯৪ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে। অর্জুন এই পাঁচটির মধ্যে তিনটি উইকেট নেন, যার মধ্যে অন্যতম হলেন সমিত। রাহুল-পুত্রকে নয় রানে আউট করেন অর্জুন। 

ইমরানের আক্রমণ

Continues below advertisement

ভারত বনাম পাকিস্তানের (India vs Pakistan) ম্যাচ মানেই টানটান উত্তেজনা, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সপ্তাহান্তে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে লড়াইটা তো দেখা গেল, তবে সেটা ব্যাট, বলের নয়, কথার লড়াই। শাহিন আফ্রিদি ও হ্যারিস রউফরা শুভমন গিল ও অভিষেক শর্মার সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়ান। তবে ম্যাচের ফলাফলে তাঁরা প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ। গ্রুপ পর্বের মতোই, 'সুপার ফোর'-র ম্যাচেও হেসেখেলে পাকিস্তানকে হারাল ভারতীয় দল। এই নিয়ে বিভিন্ন ফর্ম্যাট মিলিয়ে বিগত সাত ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতল টিম ইন্ডিয়া।

পাকিস্তানের এই পরাজয়ের পরেই দলের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে একহাত নিয়েছেন। কিংবদন্তি ক্রিকেটারের মতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ও পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নখভিরা ওপেন করতে নামলে, তখনই হয়তো পাকিস্তান ভারতকে হারাতে পারবে।

পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইমরান খানের বোন আলিমা খান সোমবার রিপোর্টারদের সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময়ই তিনি এশিয়া কাপের ওই ম্যাচের বিষয়ে ইমরান খানের বিবৃতি সর্বসমক্ষে জানান। ইমরানের তরফে আরও দাবি করা হয় ভারতকে হারাতে হলে পাকিস্তানের তরফে দেশের  প্রধান বিচারপতি কাজি ফইজ ঈশা এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সিকান্দর সুলতান রাজাকে আম্পায়ারের দায়িত্বও সামলাতে হবে। তৃতীয় আম্পায়ারের ভূমিকায় প্রয়োজন ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সরফরাজ ডোগারকে দরকার বলেও জানানো হয়। অর্থাৎ দলের ওপর বিন্দুমাত্র আস্থা রাখতে পারছেন না ইমরান খান।