দুবাই: দেশজুড়ে নয়াদিল্লি থেকে মুম্বই, কলকাতা, বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ মানুষদের একাংশ থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা, রবিবারের ভারত বনাম পাকিস্তান (India VS Pakistan) নিয়ে সুর চড়াচ্ছেন। চলছে বয়কটের ডাক, হচ্ছে বিক্ষোভ। তবে ভারত সরকার বহু আগেই নিজেদের নির্দেশিকায় এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) সূর্যকুমার যাদবদের (Suryakumar Yadav) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এক টানটান ম্যাচে ২২ গজের লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ। লড়াইয়ের ময়দান দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম।
দুই দলই দাপুটে মেজাজে এশিয়া কাপ অভিযান শুরু করেছে। ওমানকে দুরমুশ করেছে পাকিস্তান, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতীয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে আগাগোড়া দাপট দেখিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। নতুন অধিনায়ক সূর্যকুমারের তত্ত্বাবধানে ভারতীয় দলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়ে অপরাজিত। অপরদিকে পাকিস্তানও শেষ ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ১১টিতে জিতেছে। এমন পরিস্থিতিতে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মরুদেশে মহারণের অপেক্ষায় ক্রিকেটবিশ্ব।
দুই দলেই মিল প্রচুর। ভারত ও পাকিস্তান উভয় দলেই রয়েছে ম্য়াচের মোড় ঘোরানো স্পিনার, তারকা অলরাউন্ডার। দুই দলই আবার সাম্প্রতিক সময়ে দলের সেরা দুই তারকা (ভারতের ক্ষেত্রে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান) ছাড়া মাঠে নামবে। এই ম্যাচে ভারতীয় দলের হয়ে সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পাণ্ড্যর দিকে বিশেষ নজর থাকবে। দুই অভিজ্ঞ তারকার একজন সূর্য যেখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাটে ২০ রানের গণ্ডিই কোনদিন পার করতে পারেননি, সেখানে হার্দিক পাণ্ড্য ১৩ উইকেট নিয়ে এই লড়াইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক।
পাকিস্তানের হয়ে গত ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হওয়া মহম্মদ হ্যারিস নিজের ফর্ম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে মাঠে নামবেন। তবে এই ম্যাচে যার কথা না বললেই নয়, তিনি শাহিন শাহ আফ্রিদি। এই মাঠেই কয়েক বছর আগে দুই দলের মহারণে নতুন বল হাতে শাহিনের কার্যকলাপ আজও সকলের মনে আছে। তিনি এই পাক দলের সেরা অস্ত্র। তবে অপরদিকে পাকিস্তানকেও মতান্তরে বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলার যশপ্রীত বুমরার মোকাবিলা করতে হবে।
যদিও পাক ওপেনার না বুমরা-চ্যালেঞ্জ, না ভারতের বিরুদ্ধে এই ম্যাচকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তিনি এশিয়া কাপ জয়ের লক্ষ্যে অটল। আবার ম্য়াচের আগে ভারতীয় সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতে দুবাইয়ের পিচ কতটা কঠিন, তা মনে করিয়ে দিয়ে গেলেন। সব মিলিয়ে বলা বাহুল্য বাইরে বয়কট, বিক্ষোভ চলছে ঠিকই, কিন্তু তাতে এই ম্যাচের ঝাঁঝ কমার বদলে যে খানিক বেড়েইছে বটে।