শারজা: এদিন প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের (Women's T20 World Cup 2024) মরণ-বাঁচন ম্যাচে বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে অজ়িদের খুব বড় রান করা থেকে আটকে দেয় টিম ইন্ডিয়া। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা মেরেই অস্ট্রেলিয়াকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করান লিচফিল্ড। অজ়িরা আট উইকেটের বিনিময়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫১ রান তুলল। দীপ্তি শর্মা ও রেণুকা ঠাকুর ভারতের হয়ে দুইটি করে উইকেট নেন। অজ়িদের হয়ে হিলির বদলে দলে জায়গা পাওয়া গ্রেস হ্য়ারিস সর্বাধিক ৪০ রানে ইনিংস খেলেন। তবে তা আসে ১০০-র কম স্ট্রাইক রেটে। শেষের দিকে এলিস পেরির ৩২ রানের ইনিংস ও অন্তর্বতীকালীন অধিনায়ক থালিয়া ম্য়াকগ্রার ৩২ রানের ইনিংস দলকে লড়াইয়ের ময়দান গড়ে দেয়। 


 






 


তবে ভিতটা গড়েছিলেন থালিয়া ম্যাকগ্রা ও গ্রেস হ্যারিসই। প্রথমে ব্য়াট করতে নেমে রেণুকা ঠাকুরের পরপর দুই বলে দুই উইকেট অস্ট্রেলিয়াকে খানিক ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। বেথ মুনিকে দুই রানে ফেরান তিনি। ওয়েরহ্যাম তো খাতাই খুলতে পারেননি। তবে পরপর দুই উইকেট হারানোর পর থালিয়া ও গ্রেস ইনিংসকে স্থিরতা প্রদান করেন। অস্ট্রেলিয়া পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেটের বিনিময়েই ৩৭ রান তোলে। ভারতের খারাপ ফিল্ডিং গোটা টুর্নামেন্টেই দলকে ডুবিয়েছে। এই ম্যাচেও ফের একবার খারাপ ফিল্ডিংই এই দুই অজ়িকে ৬২ রানের পার্টনারশিপ গড়ার সুযোগ করে দেয়।


রাধা যাদব অবশেষে থালিয়াকে সাজঘরে ফিরিয়ে পার্টনারশিপ ভাঙেন। ভারতের সামনে সুযোগ আসে। সেট গ্রেসকে ৪০ রানে ফিরিয়ে ভারতীয় সমর্থকদের হাসি আরও চওড়া করেন দীপ্তি শর্মা। তবে পেরি ও লিচফিল্ড ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান। পেরির ৩২ রানের ইনিংস অস্ট্রেলিয়াকে রানের গতি বাড়াতে সাহায্য করে। শেষমেশ লিচফিল্ড ও সাদারল্যান্ড যথাক্রমে ১৫ ও ১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করান। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: টেস্টের পর টি-২০, বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার মাত্র চার শব্দে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন গম্ভীর