মুলতান: প্রায় দুই বছর ধরে লাল বলের ক্রিকেটে কোনও অর্ধশতরান ছিল না তাঁর ব্যাটে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে (Pakistan vs England) তাই বাবর আজমকে (Babar Azam) একাদশ থেকে বাদ দিয়েই মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। তাঁর বদলি হিসাবে দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল কামরান গুলামকে (Kamran Ghulam)। সুযোগটা সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগালেন ২৯ বছর বয়সি ব্যাটার। ১৩তম পাকিস্তান ব্যাটার হিসাবে নিজের টেস্ট অভিষেকেই হাঁকালেন সেঞ্চুরি।
ঘরের মাঠে পরপর টেস্ট ম্যাচে হারতে হয়েছে পাকিস্তানকে। বাংলাদেশের পর ইংল্যান্ডও হারিয়েছে তাঁদের। দলের ভাগ্য বদলের জন্য বেশ কিছু কড়া সিদ্ধান্ত নেয় ম্যানেজমেন্ট। তার জেরেই বাবরের বদলে কামরানকে সুযোগ দেওয়া হয়। পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত মুখ কামরান। দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছেন তিনি। রয়েছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৬টি শতরানও। সেই ধারাবাহিকতার সুফল হিসাবেই জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। আর প্রথম সুযোগেই ১৯২ বলে নয়টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে এক অনবদ্য সেঞ্চুরি করেন তিনি।
শেষমেশ শোয়েব বশিরের বলে ১১৮ রানে সাজঘরে ফিরলেও, কামরান কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করে দিলেন। তাঁর এই অনবদ্য সেঞ্চুরির পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই। একদিকে যেখানে কামরানের প্রশংসা শোনা যাচ্ছে, তেমনই অপরদিকে কিন্তু বাবরকে লক্ষ্য করে কটাক্ষও ধেয়ে এসেছে। অনেকেই বাবরকে 'গলি ক্রিকেটার' বলেও কটাক্ষ করেন।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের শুরুটা পাকিস্তান খুব একটা ভাল করেনি। ১৯ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল পাক দল। সেখান থেকে সাইম আয়ুবের সঙ্গে মিলে ১৪৯ রানের পার্টনারশিপে দলকে উদ্ধার করেন কামরান। তাঁর সেঞ্চুরি ও আয়ুবের ৭৭ রানে ভর করেই প্রথম দিনশেষে পাকিস্তান পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে বোর্ডে ২৫৯ রান তোলে। ইংল্যান্ডের হয়ে জ্যাক লিচ সর্বাধিক দুইটি উইকেট নেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু টেস্টের আগেই ভারতীয় দলের পরিকল্পনা ফাঁস করলেন অধিনায়ক রোহিত!