অ্যাডিলেড: চোট পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই চোট সারিয়ে ফিরেও এসেছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মাঠেও নামতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু ব্যাট হাতে ফের ব্যর্থ হয়েছেন। কিছুটা বলা ভাল গতকাল ভাগ্যও সঙ্গ দেয়নি দীনেশ কার্তিকের। মাত্র ৭ রান করে রান আউট হতে হয় তাঁকে। কিন্তু পরে দেখা যায় যে তিনি হয়ত রান আউট ছিলেনই না।


 



 


 






গতকাল বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএলএস নিয়মে ৫ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসান। খেলার ১৭ তম ওভারে বিরাট কোহলির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন দীনেশ কার্তিক। বোলার ছিলেন শরিফুল। ক্লিপিংয়ে দেখা যায় যে শাকিব আল হাসানের ছোড়া থ্রো শরিফুলের কাছে এসে পৌঁছনোর আগেই বাংলাদেশের বোলার হাত দিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন। আম্পায়ার কার্তিককে রান আউট দেন।


যদিও এই সিদ্ধান্তের পরই সোশাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন সবাই। ট্যুইটারে আম্পারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই।


কোহলির রেকর্ড


বুধবার একটি কীর্তি গড়ে ফেললেন কোহলি। তিনিই হলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। বিরাট ভেঙে দিলেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি মাহেলা জয়বর্ধনের রেকর্ড। বাইশ গজে যেন পুনর্জন্ম হয়েছে তাঁর। ব্যাটে রানের ফুলঝুরি। পাকিস্তানের পর নেদারল্য়ান্ডসের বিরুদ্ধেও করেছেন ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনি। ক্রিস গেলকে পেরিয়ে গিয়েছিলেন আগেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩৩ ম্যাচে ৯৬৫ রান রয়েছে গেলের। 


তালিকার শীর্ষে ছিলেন জয়বর্ধনে। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩১ ম্যাচে ১০১৬ রান রয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোহলির সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হওয়াটা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। বুধবারই সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন কোহলি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোহলির ঝুলিতে ১০৩৩ রান হয়ে গিয়েছে। এবং সেটা অনেক কম ম্যাচ খেলে। মাত্র ২৫ ম্যাচে প্রায় নব্বইয়ের কাছাকাছি গড় রেখে এই রান করেছেন কোহলি।