অনন্তপুরম: দলীপ ট্রফিতে চাপের মুখে দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) ও দেবদত্ত পড়িক্কলের (Devdutt Padikkal)। দুজনের লড়াইয়ের সুবাদে লো স্কোরিং ম্যাচে ইন্ডিয়া সি দলের বিরুদ্ধে ২০২ রানের লিড নিল ইন্ডিয়া ডি দল। ম্যাচে ২ দিনে পড়ল ২৮ উইকেট। চারদিনের ম্যাচ রুদ্ধশ্বাস পরিণতির দিকে এগোচ্ছে।
ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল ইন্ডিয়া ডি। মাত্র ১৬৪ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল তাদের প্রথম ইনিংস। একমাত্র অক্ষর পটেল ছাড়া আর কেউই বলার মতো রান পাননি। ৮৬ রান করে দলের ইনিংসকে টেনেছিলেন বাঁহাতি স্পিনার অলরাউন্ডার অক্ষর। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন ইন্ডিয়া ডি দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। আইপিএলে তাঁর নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ছন্দ ধরে রেখেছেন মুম্বইয়ের তারকা। দ্বিতীয় ইনিংসে চাপের মুখে হাফসেঞ্চুরি করলেন তিনি। আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে ৪৪ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। ৯টি চারের পাশাপাশি একটি ছক্কাও মেরেছেন তিনি। টি-২০ ক্রিকেটের ঢঙে ব্যাটিং করেন তিনি।
শ্রেয়সকে যোগ্য সঙ্গত করেন দেবদত্ত পড়িক্কল। ৭০ বলে ৮টি বাউন্ডারি মেরে ৫৬ রান করেন তিনি। পাঁচ নম্বরে নেমে রিকি ভুঁই ৪৪ রান করেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৪৯ ওভারে ইন্ডিয়া ডি দলের স্কোর ২০৬/৮। ক্রিজে রয়েছেন প্রথম ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার অক্ষর পটেল। ১১ রান করে ব্যাট করছেন তিনি। সঙ্গে হর্ষিত রানা। ২০২ রানে এগিয়ে গিয়েছে ইন্ডিয়া ডি। ইন্ডিয়া সি দলের বাঁহাতি স্পিনার ৫ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছিল ইন্ডিয়া সি দলেরও। ১৬৮ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল তাদের প্রথম ইনিংস। মাত্র ৪ রানের লিড নিয়েছিল তারা। বাবা ইন্দ্রজিৎ সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন। হর্ষিত রানা ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। প্রথম দিন পড়েছিল ১৪ উইকেট। দ্বিতীয় দিনও পড়ল ১৪ উইকেট। যা পরিস্থিতি, তাতে তৃতীয় দিন, শনিবারই ম্যাচের ফয়সালা হয়ে যেতে পারে।
শেষ হাসি হাসবে কোন দল?
আরও পড়ুন: RG কর-এ নির্যাতিতার পরিবারের হাতে নিজের আন্তর্জাতিক পদক তুলে উদাহরণ তৈরি করলেন সুস্মিতা