নয়াদিল্লি: সদ্য সমাপ্ত হওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতীয় টেস্ট দলের অংশ ছিলেন ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan)। তিনি না কেএস ভারত, কিপার হিসাবে কে একাদশে সুযোগ পাবেন, সেই নিয়ে জোর জল্পনা ছিল। শেষমেশ অবশ্য ভারতই সুযোগ পান। চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পর ভারতের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শুরু হতে এখনও খানিকটা সময় বাকি রয়েছে। তার আগেই আয়োজিত হবে দলীপ ট্রফি (Duleep Trophy)। সেই টুর্নামেন্ট খেলতে নাকি আগ্রহীই নন ঈশান।


সদ্যই দলীপ ট্রফির জন্য পূর্বাঞ্চল দলের (East Zone) ঘোষণা হয়েছে। সেই দলে ঈশান কিষাণের নাম দেখতে না পেয়ে অনেকেই খানিকটা ভ্রু কুঁচকেছিলেন। অভিমন্যু ঈশ্বরণের নেতৃত্বে খেলতে দেখা যাবে পূর্বাঞ্চলকে। সহ-অধিনায়ক হিসাবে দলে সুযোগ পেয়েছেন শাবাজ নদীম। এরপরেই এক পূর্বাঞ্চল নির্বাচক পিটিআইকে জানান ঈশান নাকি নিজেই পূর্বাঞ্চলের হয়ে দলীপ ট্রফিতে খেলতে আগ্রহী নন। সেই নির্বাচক বলেন, 'ও এবং কেএস ভারত ভারতীয় টেস্ট দলের অংশ ছিলেন। যেহেতু ভারত দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে খেলছেন, তাই আমরা জোনাল নির্বাচক কমিটির কনভেনার দেবাশিস চক্রবর্তীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে আমরা ঈশানকে দলে নিতে পারি কি না।'


তিনি আরও যোগ করেন, 'সাদা বলের ক্রিকেটে যেহেতু ও ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য, তাই ওকেই দলের অধিনায়ক নিয়োগ করা হত। চক্রবর্তী আমাদের কথামতো ঈশানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। কিন্তু ও আমাদের এসে জানায় যে ঈশান দলীপ ট্রফি খেলতে আগ্রহী নন বলেই জানিয়েছেন। ওর কোনও চোটআঘাত রয়েছে কি না, সেটা নিয়ে অবশ্য আমাদের কিছু জানানো হয়নি। খালি এই টুর্নামেন্ট ও খেলতে চায় না, এটুকুই বলা হয়।'


ঈশান কিষাণ খেলতে আগ্রহী না হওয়ায় ভারতীয় কিপার তথা ত্রিপুরা দলের বর্তমান সদস্য ঋদ্ধিমান সাহাকেও (Wriddhiman Saha) দলীপ ট্রফিতে অংশগ্রহণ করার জন্য যোগাযোগ করা হয়। ত্রিপুরার নির্বাচক জয়ন্ত দে ঋদ্ধিমানকে দলে দেখতে আগ্রহী ছিলেন। তবে তিনিও খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেননি। ভারতীয় দলের দরজা যে ঋদ্ধির জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তা আগেই স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই জন্যেই ঋদ্ধি আর দলীপ ট্রফিতেও খেলতে আগ্রহী নন।


উক্ত নির্বাচক বলেন, 'ঋদ্ধিমানের ক্ষেত্রে বিষয়টা অন্য। ও নিজে জানায় যে দলীপ ট্রফিতে সেইসব ক্রিকেটাররাই খেলেন, যারা ভারতীয় দলে সুযোগ পেতে পারেন। আমি যদি আর ভারতীয় দলের হয়ে কোনদিন খেলার সুযোগই নাই পাই, তাহলে শুধু শুধু নিজে খেলে একজন তরুণ ক্রিকেটারের জায়গা আটকে রাখার মানে হয় না। সেই কারণেই আমরা অভিষেক পোড়েলকে সুযোগ দিই। ও বাকি দুইজনের পর কিপারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল।'


এবিপি আনন্দ এখন টেলিগ্রামেও, ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিসের মধ্যে পার্থক্য কী ? প্রতিরোধের উপায় কী ?