লন্ডন: ভারতের বিরুদ্ধে এজবাস্টন টেস্টেও কিন্তু ইংল্যান্ড 'বাজ়বল' (Bazball) নীতি নিয়েই নিজেদের ক্রিকেটটা খেলেছিল। পরিবেশ পরিস্থিতি যেমনই হোক, টেস্টে ইংল্যান্ডের অতি আগ্রাসী ব্যাটিংয়েরই পোশাকি নাম 'বাজ়বল'। দলের কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাকালামের ডাকনাম থেকে এর উৎপত্তি। বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজরা এই নীতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বলা ভাল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। সমালোচনায় মুখেও নিজেদের খেলার ধরন বদলাননি তারা। তবে এজবাস্টনে পরাজয়ই সবটা বদলে দিল।
তৃতীয় টেস্টে (ENG vs IND 3rd Test) প্রথম দিনে স্বভাববিরুদ্ধ, একেবারে প্রথাগত টেস্ট ক্রিকেট খেললেন ইংল্যান্ড ব্যাটাররা। মাত্র ৩.০২ রান প্রতি ওভারে লর্ডসে প্রথম দিন ৮৩ ওভারে চার উইকেটে ২৫১ রান তোলে। এটা যে একেবারেই বাজ়বলোচিত খেলা নয়, তা বুঝতে খুব একটা বড় বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয় না। ম্যাচের মাঝেই তো একটা সময় ইংল্যান্ড নাগাড়ে ২৮ বলে কোনও রানই করতে পারেনি। এরপরেই ম্যাচের দ্বিতীয় সেশনে জো রুটকে (Joe Root) খোঁচা দিতে দেখা যায় মহম্মদ সিরাজকে (Mohammed Siraj)।
ঘটনাটি ঘটে ইনিংসের ৩১তম ওভারে। বোলার সিরাজকে ফলো থ্রুতে ব্যাটার রুটের কাছে গিয়ে বলতে শোনা যায়, 'রুট বাজ়বল কই, হ্যাঁ? কোথায় বাজ়বল?' আরেকবার তিনি বলেন, 'বাজ়, বাজ়, বাজ়বল। কোথায় বাজ়বল দেখাও।'
তবে রুট সিরাজের স্লেজিং সত্ত্বেও নিজের মাথা ঠান্ডা রেখেই কিন্তু নিজের খেলা চালিয়ে যান। গোটা দিনজুড়ে তিনি ব্যাট করে যান এবং দিনশেষে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন। দিনশেষে রুট ৯৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন। ৯৯ রান করতে তিনি ১৯১ বল খেলেন, স্ট্রাইক রেট মোটে ৫১.৮৩। এমনকী ইংল্যান্ডের হয়ে এই ম্য়াচে সর্বাধিক স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা বেন ডাকেটের স্ট্রাইক রেটও মাত্র ৫৭.৫০ ছিল। অর্থাৎ গোটা দিনটায় ইংল্যান্ড ক্ষুরধার ভারতীয় বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে যে একেবারেই অবাজ়বলোচিত ক্রিকেটটা খেলেছে, তা একেবারে স্পষ্ট।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেও কি ইংল্যান্ড একইভাবে খেলবে, না সেই পরিচিত আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং করা বেছে নেবে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।