নয়াদিল্লি: রমরমিয়ে চলছে আইপিএলের আসর। তবে আইপিএল শেষ হলেই ইংল্যান্ডের (England vs India) লম্বা সফরে যাবে ভারতীয় দল। পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ় খেলবে টিম ইন্ডিয়া। ভারতীয় ক্রিকেটের দুই স্তম্ভ বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা সদ্যই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। দুই মহাতারকার অবসরের পর এই সিরিজ়ের মাধ্যমে নতুন যুগের সূচনা করবে টিম ইন্ডিয়া। দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসাবে যশপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) কাঁধে এই সময় বড় দায়িত্ব। তবে ইংল্যান্ড সিরিজ়ের আগেই বুমরার এক খবর ভারতীয় সমর্থকদের উদ্বেগ বাড়াবে।

বুমরা রোহিত জমানায় ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন। টিম ইন্ডিয়াকে অতীতে টেস্টে একাধিকবার নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। তবে টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে তাঁকে আপাতত পিছিয়েই রাখা হয়েছে। তবে বকলমে অধিনায়ক যদি তিনি নাও হন, সিনিয়র ক্রিকেটার হিসাবে বুমরার কাঁধে বিলেত সফরে গুরুদায়িত্ব থাকবে। আজই ইংল্যান্ড সফরের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণার কথাও রয়েছে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে এই গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ়ের আগেই বুমরা নাকি নির্বাচকদের জানিয়ে দিয়েছেন তিনি পাঁচ ম্যাচের সবকয়টি খেলতে পারবেন না।

এক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে বুমরা ভারতীয় নির্বাচকদের জানিয়েছেন যে তাঁর শরীর তিন টেস্ট ম্যাচের বেশি ধকল নিতে পারবে না। সদ্যই চোট সারিয়ে ফিরেছেন ভারতের তারকা ফাস্ট বোলার। বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ়ে তিনি সবকয়টি ম্যাচই খেলেছিলেন। তবে শেষ টেস্টে কোমড়ে এমন চোট পান বুমরা যে তাঁকে বেশ কয়েক মাস মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে। আইপিএলে দেরিতে ফিরেছেন তিনি। তাই সবকয়টি ম্যাচ খেলা এখন তাঁর জন্য বেশ ধকলেরই হতে পারে। সেই কথাই সম্ভবত নির্বাচকদের বুমরা জানিয়েছেন।

এই পাঁচ টেস্ট খেলতে না পারাটাই সম্ভবত বুমরাকে ভারতীয় টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার দৌড় থেকেও পিছিয়ে দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে নির্বাচকরা এমন কাউকে অধিনায়ক হিসাবে চাইছেন যে সবকয়টি ম্য়াচ খেলতে পারবেন। বুমরার পক্ষে তা সম্ভব না হওয়ায় তিনি নেতৃত্বের দৌড়েও পিছিয়ে গিয়েছেন। বুমরার পাশাপাশি তাঁর দীর্ঘ সময়ের সতীর্থ মহম্মদ শামিরও ইংল্যান্ড সফরে খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ইএসপিএল ক্রিকইনফোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী শামির ফিটনেসের তত্ত্বাবধানে বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল দলের এক সদস্যও নাকি লখনউয়ে উড়ে গিয়েছেন। সেখানে আরসিবির সঙ্গে ম্যাচ খেলছে শুক্রবার হায়দরাবাদ। তবে টেস্ট ক্রিকেটে লম্বা স্পেলের প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে শামি কতটা ভরসা জোগাতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছেন নির্বাচকরা ও বিসিসিআই। তবে সবটা দল নির্বাচনের পরেই জানা যাবে।