হায়দরাবাদ: প্রয়াত হলেন সৈয়দ আবিদ আলি। ষাটের দশকে ও সত্তরের দশকের শুরুতে ভারতীয় ক্রিকেটের এক উল্লেখযোগ্য নাম ছিলেন আবিদ আলি। লোয়ার অর্ডার ব্যাটার ও মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন তিনি। কেরিয়ারের শেষ সময় থেকে ক্যালিফোর্নিয়াতেই থাকতেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। নর্থ আমেরিকা ক্রিকেট লিগের সোশ্য়াল মিডিয়ায় আবিদ আলির মৃত্যুর খবরটি জানিয়েছেন তাঁর আত্মীয় রেজা খান।
ঘরোয়া ক্রিকেটে হায়দরাবাদের হয়ে খেলা আবিদ আলি ষাটের দশকে ভারতীয় ক্রিকেট দলে আসেন। কেরিয়ারে ১৯৬৭-১৯৭৪ পর্যন্ত মোট ২৯টি টেস্ট ম্য়াচ খেলেছেন। ২০.৩৬ গড়ে ১০১৮ রান করেছেন। ৬টি অর্ধশতরানের ইনিংস রয়েছে তার মধ্যে। বল হাতে ৪৭ উইকেট নিয়েছিলেন আবিদ আলি। ৫৫/৬ এটি হল আবিদের সেরা বোলিং ফিগার। ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটেও ৫টি ম্য়াচ খেলে মোট ৯৩ রান করেছেন এই কিংবদন্তি। ৭৩ রানের ইনিংস রয়েছে একটি তার মধ্যে। হায়দরাবাদের হয়ে রঞ্জি খেলতে নেমে মোট ২১২ ম্য়াচে ৮৭৩২ রান করেছেন। ১৩টি শতরান ও ৩১টি অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন। উইকেট নিয়েছেন মোট ৩৯৭টি। ১৪ বার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন এক ইনিংসে।
কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার মিলিন্দ রেগে। যিনি মুম্বই ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ও নির্বাচক। ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম নামী চরিত্র। সুনীল গাওস্করের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মিলিন্দ রেগে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বুধবার হাসপাতালেই প্রয়াত হলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
মিলিন্দের জীবনও বেশ নাটকীয়। মাত্র ২৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তারপর ক্রিকেট মাঠেও ফেরেন। রঞ্জি ট্রফিতে মুম্বই দলকে নেতৃত্বও দেন।
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত ছিলেন মিলিন্দ রেগে। ১৯৮৮ সালে সচিন তেন্ডুকর মুম্বইয়ের রঞ্জি দলে ঢোকার সময় মিলিন্দ ছিলেন মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার অন্যতম নির্বাচক।
মিলিন্দ রেগে ও সুনীল গাওস্কর ছোটবেলার বন্ধু। দু'জনে একই স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করেছেন। দাদার ইউনিয়ন স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে দু'জনে একসঙ্গে ক্রিকেটেও খেলেছেন চুটিয়ে। ২০০০ সাল থেকে মিলিন্দ মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন। মিলিন্দের প্রয়াণে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন মুম্বইয়ের আরও এক তারকা রবি শাস্ত্রী।
আরও পড়ুন: ইডেনে উইকেট পুজো করে প্রস্তুতি শুরু নাইটদের, প্র্যাক্টিসে চমক রাসেল-রাহানের