আমদাবাদ: মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অবসরের পর থেকে ভারতীয় দল বারংবার যোগ্য ফিনিশারের অভাবে ভুগেছে। তবে অনেকেই হার্দিক পাণ্ড্যকে (Hardik Pandya) এই ভূমিকায় ধোনির যোগ্য উত্তরসূরি মনে করেন। হার্দিক এবার নিজেও এই বিষয়ে মুখ খুললেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন দলের প্রয়োজনে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (Mahendra Singh Dhoni) যে ভূমিকায় খেলতেন, সেই ভূমিকায় খেলতে তিনি প্রস্তুত।
ধোনির ভূমিকায় হার্দিক
হার্দিক জানান ধোনির ভূমিকায় খেলতে হলে যদি তাঁর স্ট্রাইক রেটে তার প্রভাব পড়ে, তাতেও কোনও সমস্যা নেই। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে হার্দিক বলেন, 'ওই ভূমিকায় খেলতে হলে হয়তো আমার স্ট্রাইক রেট কমে আসবে। নতুন ভূমিকা বা নতুন দায়িত্ব নিতে আমি কখনই পিছুপা হইনি। একদা মাহি যে ভূমিকায় খেলতেন ওই ভূমিকায় যদি আমায় একান্তই খেলতে হয়, তাহলে আমার কোনওরকম অসুবিধা নেই।'
পান্ড্যর মতে তিনি আর চাপের মুখে বিব্রত হন না এবং ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে দলকে জেতাতেও তিনি শিখেছেন। এই ভূমিকায় তো একদা মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে দেখা যেত। অভিজ্ঞতাই হার্দিককে চাপের মুখেও ভেঙে না পড়ার শক্তি জুগিয়েছে বলে দাবি তাঁর। হার্দিক বলেন, 'আমি যে ছয় মারতে পছন্দ করি, সেই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে আমাকে তো সময়ের সঙ্গে বদলাতেই হবে, এটাই তো জীবন। আমায় পার্টনারশিপ গড়ায় মন দিতে হবে। অপর ব্যাটারকে আশ্বাস দিতে হবে যে আমি অপর প্রান্তে রয়েছি। আমি এখানের বাকি সকলের থেকে বেশি ম্যাচ খেলেছি। তাই আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তার থেকেও বড় কথা হল, চাপের মুখে কীভাবে খেলতে হয়, আমি সেটা শিখেছি।'
পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের মতো সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্তভাবে টি-টোয়েন্টি (IND vs NZ T20I) সিরিজ জিতে নিয়েছে তরুণ ভারতীয় দল। তিন ম্যাচের সিরিজে একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। ভারতীয় অধিনায়ক তিন ম্যাচে মোট ৬৬ রান করার পাশাপাশি পাঁচ উইকেট নেওয়ায় সিরিজ সেরাও ঘোষিত হয়েছেন। তবে এই পুরস্কারটি তিনি দলের গোটা সাপোর্ট স্টাফের সঙ্গেই ভাগ করে নিতে আগ্রহী। .
ম্যাচ শেষে সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়ে হার্দিক বলেন, 'সত্যি বলতে আমার এই সিরিজ সেরার পুরস্কারটা গোটা সাপোর্ট স্টাফের পাওয়া উচিত।' হার্দিক স্পষ্ট জানান পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা নয়, ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ীই তিনি বরাবর সিদ্ধান্ত নেওয়া পছন্দ করেন এবং এই ফলেই সাফল্যও এসেছে। 'আমি বরাবরই ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সেই সময়ে যা করণীয়, সেই মতোই সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি। পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনার ভরসায় থাকি না। অধিনায়কত্ব হোক বা জীবন, আমি একটি বিষয় সবসময় মেনে চলি, যদি আমায় হারতেই হয়, তাহলে আমি নিজের সিদ্ধান্ত, নিজের দোষে হারব। তাই দিনের শেষে আমি নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিই।' দাবি হার্দিকের।
আরও পড়ুন: ভারত-অস্ট্রেলিয়ার লড়াই চাক্ষুষ করতে মাঠে উপস্থিত থাকবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী