বঢোদরা: ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। এরপর থেকে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজের ছাপ রেখেছেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার হয়ে উঠেছেন ধীরে ধীরে। এখন তো জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মধ্যেও একজন হার্দিক পাণ্ড্য। তবে পুরো সফরটা কখনওই মধুর ছিল না বঢোদরার এই অলরাউন্ডারের। জাতীয় দলে খেলার সময়ই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রিয়্যালিটি শো-তে গিয়ে কিছু মন্তব্য করার জন্য। চোট আঘাত বারবার কেরিয়ারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই মধ্যে আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হয়ে নিজেরই ফ্র্যাঞ্চাইজির ঘরের মাঠে বিদ্রুপের শিকার হতে হয়েছে। যদিও সেই বঞ্চনার জবাবও দিয়েছেন দেশকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়ে। 


তবে এরই মধ্যে নিজের ব্যক্তিগত জীবনেও টালমাটাল হতে হয়েছে। ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন বলিউডে কাজ করা সার্বিয়ান অভিনেত্রী নাতাশা স্ত্যাঙ্কোভিচকে। কিন্তু চলতি বছরই তাঁদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হার্দিকের বেশ কিছুদিন আগে বলা একটি বক্তব্য ফের ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ''আমাদের কাছে টাকাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি জানি আমাকে এখন দেখে অনেকেই অনেক রকম মন্তব্য করেন। কিন্তু আমি জানি দিনের শেষে আমার পা মাটিতেই থাকে। আমি ও আমার ভাই ক্রুণালের দুজনের কাছেই পরিবারটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পরিবারের মানুষগুলো ভাল থাকুক এটাই চাইতাম সবসময়। আমি হয়ত ক্রিকেটে টাকা না থাকলে আসতামও না। সেক্ষেত্রে পেট্রোল পাম্পে কাজ করতাম। সেক্ষেত্রে ক্রিকেটে আমাকে দেখা যেত না।''


টেস্টে ক্রিকেটে বেশিদিন নিজের কেরিয়ার টেনে নিয়ে যেতে না পারলেও টি-টোয়েন্টি ও ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে জাতীয় দলের অংশ হার্দিক। ক্রুণাল অবশ্য জাতীয় দলের নিজের জায়গা পাকা করতে পারেননি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জেতার পর সিরিজ সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ও কোচ গৌতম গম্ভীরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন বঢোদরার অলরাউন্ডার। হার্দিক বলেন, ''আমি অধিনায়ক ও কোচকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ওঁরা যে স্বাধীনতা দিয়েছে। তাতেই সাফল্য এসেছে। গোটা দলে হিসেবে আমরা ভাল পারফর্ম করেছি। আমি খেলাটা সবসময় উপভোগ করি। মাঠে নেমে সবসময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। নিজেকে উজার করে দিতে চেয়েছি। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ যদি ভাল হয়, তবে পারফরম্য়ান্সেও তার প্রভাব পড়ে। এমন পরিবেশে নিজের আরও বেশি করে ভাল পারফর্ম করার মনোবল বেড়ে যায়।''