রায়পুর: নিউজিল্যান্ডের (IND vs NZ) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচও জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল (India Cricket Team)। একই সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ জিতে নিয়েছে রোহিত বাহিনী। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের আসর আসন্ন অক্টোবরে। তার আগে নতুন বছরের পরপর ২ টো ওয়ান ডে সিরিজে প্রথমে শ্রীলঙ্কা ও পরে কিউয়িদের বিরুদ্ধে জয় পেল ভারত। যা অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) অ্যান্ড কোংকে। তা মেনে নিচ্ছেন দলের তারকা পেসার মহম্মদ শামিও। 


কী বলছেন শামি?


ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট একটা বড় ইস্যু এই সময়ে দাঁড়িয়ে। গতকাল ৬ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন শামি। প্রথম স্পেলেই কিউয়ি ব্য়াটিং লাইন আপে ভাঙন ধরিয়ে দিয়েছিলেন বাংলার এই পেসার। ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে শামি বলছেন, ''আমার মনে হয় বিশ্বকাপের মত বড় টুর্নামেন্টের আগে ম্যাচ খেলাটা খুব দরকার। অনুশীলনের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। টিম ম্য়ানেজমেন্ট ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কথা মাথায় রেখে আমাকে সহ বেশ কয়েকজন সিনিয়রকে মাঝেমধ্যেই বিশ্রাম দিয়েছেন। তবে বিশ্বকাপের আগে আরও কিছুটা সময় রয়েছে। তাই নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সময় পাব আমরা।''


অপরিবর্তিত দল নিয়েই এই ম্যাচে মাঠে নামে টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যদিও এই সিদ্ধান্ত জানাতে বেশ সময় নেন রোহিত। টসে জিতে ব্যাট না বল, কী করবেন, দলের পূর্বপরিকল্পনাই ভুলে যান তিনি। ম্যাচ শুরু হলে অধিনায়ক রোহিতের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে প্রথম ওভারেই সাফল্য পান মহম্মদ শামি। শূন্য রানে ফিন অ্যালেনকে ফেরত পাঠান তিনি। গত ম্যাচে দুরন্ত বোলিং করা সিরাজও উইকেট নিতে বেশি সময় নেননি। নিজের তৃতীয় ওভারেই হেনরি নিকোলসকে (২) ফেরান তিনি। পরের ওভারেই ১ রানে ডারিল মিচেলকে ফেরত পাঠান শামি। নিজের বোলিংয়ে দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে ডেভন কনওয়েকে (৭) আউট করেন হার্দিক পাণ্ড্য। টম ল্যাথামকে ১ রানে আউট করেন শার্দুল ঠাকুর।





শুরুতেই পরপর উইকেট হারানোর পর ফের একবার নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে লড়াই চালাচ্ছিলেন গত ম্যাচের শতরানকারী মাইকেল ব্রেসওয়েল। তবে দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে তুলে নিয়েই ফের একবার ভারতকে সাফল্যে এনে দেন শামি। ২২ রানে ব্রেসওয়েলকে সাজঘরে ফেরান তিনি। ব্রেসওয়েল আউট হয়ে যাওয়ার পর মিচেল স্যান্টনারকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন গ্লেন ফিলিপ্স। দুই জনে মিলে ৪৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। তবে মিচেল স্যান্টনার ২৭ রানে আউট হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে নিউজিল্যান্ডের লোয়ার অর্ডার। মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানেই শেষ চার উইকেট হারায় কিউয়ি দল।