ঢাকা: দ্বিতীয় টেস্টে (IND vs BAN 2nd Test)হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর বাংলাদেশকে তিন উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ ও সিরিজ উভয়েই জিতে নেয় ভারতীয় দল (Indian Cricket Team)। একসময় চাপের মুখে পড়লেও, শ্রেয়স আইয়ার ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের প্রতিআক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ভর করে জয় পায় টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ শেষে ভারতীয় অধিনায়ক কেএল রাহুল (KL Rahul) কোনও রাখঢাক না করেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন ভারতীয় সাজঘর ম্যাচের শেষের দিকে খুবই চাপ অনুভব করছিল। তবে তা সত্ত্বেও সতীর্থদের প্রতি তাঁর আস্থা অটুট ছিল।
চাপের মুখেও আস্থা
রাহুল বলেন, 'এমন পরিস্থিতিতে ক্রিজে উপস্থিত থাকা খেলোয়াড়দের ওপর ভরসা রাখাটা খুবই জরুরি। আমরা একসঙ্গে যথেষ্ট ক্রিকেট খেলেছি, তাই আস্থা ছিল যে কেউ না কেউ ক্রিজে টিকে থেকে দলকে জিতিয়েই ফিরবে। তবে মিথ্যা বলব না, আমাদের সাজঘরের সকলেই ভীষণ চাপে ছিল। পিচটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভীষণই কঠিন ছিল। দুই ইনিংসেই ওরা আমাদের চাপে ফেলে। নতুন বলে এই পিচে ব্যাট করাটা খুবই শক্ত, তবে বল যত পুরনো হয়, ততই রান করতে সুবিধা হয়েছে। যে দল নতুন বলের বিরুদ্ধে বেশি ভাল খেলবে, সেই দলই এই পিচে ম্যাচ জিতবে।'
বোলারদের প্রশংসা
১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতীয় দল একসময় ৭৪ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। সেখান থেকেই অশ্বিন-শ্রেয়স ভারতকে রক্ষা করেন। দল একটু বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলছিল, নির্দ্বিধায় মেনে নিচ্ছেন রাহুলও। 'আমরা একটু বেশি সংখ্যক উইকেটই হারিয়ে ফেলেছিলাম। এর থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে আমরা আরও ভাল খেলার চেষ্টা করব। তবে দিনের শেষে ম্য়াচ জিততে পেরেছি। সেটাই প্রয়োজনীয়।'
ভারতীয় দলের বোলিং আক্রমণ, বিশেষত ফাস্ট বোলিং বিভাগকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন রাহুল। 'সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বিদেশের মাটিতে যেখানেই খেলেছি, সেখানেই সাফল্য পেয়েছি। আমাদের বোলিং আক্রমণ বরাবর ভাল পারফর্ম করে দলকে জিতিয়েছে। এই সিরিজ জয়টা আমাদের পেস আক্রমণকে আমরা কেমনভাবে তৈরি করছি, তারই পরিচয়বাহক। অশ্বিন, অক্ষরও ভাল পারফর্ম করেছে। উমেশ মুশকিল পরস্থিতিতে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে। জয়দেব বহুদিন পরে জাতীয় দলে ফিরেই অনবদ্য বোলিং করেছে। সত্যি বলতে ও যে কটা উইকেট পেয়েছে, তার থেকে আরও বেশি উইকেট পাওয়া উচিত ছিল। ওরা যে চাপটা তৈরি করেছিল, অশ্বিন, অক্ষর সেটাকেই কাজে লাগিয়ে সাফল্য পায়।' মত রাহুলের।
আরও পড়ুন: কোহলির ব্যাটে রানের খরা, ফিরল ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরের স্মৃতি