ম্যাঞ্চেস্টার: ওল্ড ট্রাফোর্ডে নাগাড়ে চতুর্থ টস জিতে ভারতীয় দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন ইংল্য়ান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ, মেঘলা আকাশে স্টোকস আশা করছিলেন জোফ্রা আর্চার, ব্রাইডন কার্স, ক্রিস ওকসরা ভারতীয় টপ অর্ডারকে নাকানি চোবানি খাওয়াবেন। তবে তেমনটা হল না।

বোলিং সহায়ক পরিবেশে ভারতীয় দলের দুই ওপেনার কেএল রাহুল (KL Rahul) ও যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal) দুরন্ত পরিপক্কতার সঙ্গে ব্যাটিং করলেন। চতুর্থ টেস্টের (IND vs ENG 4th Test) প্রথম সেশনে ইংল্যান্ড বোলাররা ভারতীয় দলের কোনও উইকেটই ফেলতে পারলেন না। দুই ওপেনার যশস্বী ৩৬ ও রাহুল  ৪০ রানে অপরাজিত থেকেই সাজঘরে ফিরলেন। ২৬ ওভারে তিন রান প্রতি ওভার গড়ে সেশনে মোট ৭৮ রান তুলল ভারতীয় দল

এদিন একাদশে তিন বদল ঘটিয়ে মাঠে নামে ভারতীয় দল। একাদশে ফেরেন শার্দুল ঠাকুর, সাই সুদর্শন এবং অংশুল কম্বোজকে অভিষেকের সুযোগ করে দেওয়া হয়। শুরুটা অত্যন্ত ইতিবাচকভাবেই করে টিম ইন্ডিয়া। প্রথম তিন ওভারেই দুই ওপেনার একটি করে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফেলেন। তবে জয়সওয়াল জীবনদানও পান। বল তাঁর কাণায় লেগে দ্বিতীয় স্লিপের আগেই পড়ে। ফলে জীবনদান পান যশস্বী। ক্রিস ওকস তাঁর স্যুইংয়ে একাধিকবার যশস্বী পরাস্ত হন। ব্যাটের কাণার পাশ দিয়ে একাধিক বল কিপারের হাতে পৌঁছয়।

 

তবে টেস্ট ক্রিকেটে বারংবরই বলা হয় ইনিংসে সময় কাটালে পরে ব্যাটিংটা সহজ হয়। এখানেও তাই হল। দেখেশুনে খেলার পর লাঞ্চের আগে আগে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন যশস্বী। তাঁর ব্যাট থেকে একাধিক বাউন্ডারি আসে। কেএল রাহুল তো সুযোগ পেলেই একাধিক বাউন্ডারি মারেন। রাহুলের ব্যাকফুট পাঞ্চ ছিল দেখার মতো। রাহুল নিজে ইংল্যান্ডে পঞ্চম ভারতীয় হিসাবে হাজার টেস্ট রানের গণ্ডি পার করেন।

দুইজনে মিলেই দলকে বেশ ভাল জায়গায় নিয়ে যান। এবার দেখার লাঞ্চের পর তাঁরা কেমন ব্যাটিং করেন। ভারতীয় সমর্থকরা চাইবেন দুই ওপেনারই যেন নিজেদের অর্ধশতরান পূরণ করে ইনিংসটা আরও এগিয়ে নিয়ে যান। তাঁরা ইনিংস কতটা এগিয়ে নিয়ে যান, সেটাই কিন্তু দেখার বিষয় হতে চলেছে।