ম্যাঞ্চেস্টার: লাঞ্চের আগে মাত্র তিন ওভারেই দুই উইকেট হারিয়েছিল ভারতীয় দল। তারপরে দলের প্রয়োজন ছিল এক জমাটি পার্টনারশিপ। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ঠিক সেটাই করে দেখালেন শুভমন গিল (Shubman Gill) ও কেএল রাহুল (KL Rahul)। চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ভারতীয় দল এক উইকেটও না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৮৫ রান যোগ করল।
ইতিমধ্যেই ভারতীয় অধিনায়ক গিল নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করে ফেলেছেন। আপাতত তাঁর স্কোর ৫২। রাহুল ৩০ রানে অপরাজিত রয়েছেন। চা পানের বিরতিতে ভারতের স্কোর ৮৬/২। তবে ম্যাঞ্চেস্টারে চতুর্থ টেস্টে (IND vs ENG 4th Test) এখনও অনেকটাই পিছিয়ে ভারত। বর্তমানে ইংল্যান্ডের লিড ২২৬ রান।
প্রথম সেশনে খাতা খোলার আগেই ভারতীয় দল জোড়া উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ভারতীয় সমর্থকদের উদ্বেগ বেড়েছিল। অনেকেই আশঙ্কায় ছিল টিম ইন্ডিয়া কি আজই অল আউট হয়ে যাবেন? সেই উদ্বেগ ক্ষণিকের জন্য হলেও দূর করলেন রাহুল ও গিল। দ্বিতীয় সেশনে দুইজনে বেশি রান করলেন না বটে, তবে ভারত যাতে কোনও উইকেট না হারায়, সেটাও রাহুলরা সুনিশ্চিত করলেন।
শুভমন গিল নিজের ইনিংসের শুরুতেই জোফ্রা আর্চারের বিরাট আপিলের মুখোমুখি হন। তবে এলবিডব্লু আপিলে আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি বল গিলের প্যাডে না ব্যাটে, কোথায় আগে লেগেছে। সেই কারণেই জীবনদান পান তিনি। এরপরে অবশ্য গিলকে দারুণ ছন্দে দেখায়। একাধিক দুরন্ত কভার ড্রাইভ, স্ট্রেট ড্রাইভ মারেন গিল। তবে ঠিক অর্ধশতরানের দোরগোড়াতেই টিম ইন্ডিয়া সমর্থকদের রক্তচাপ বাড়িয়ে ড্রাইভ মারতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন গিল। অবশ্য কার্সের বলে ৪৬ রানে লিয়াম ডসন পয়েন্টে গিলের ক্যাচ ফেলেন। জীবনদান পেয়ে অর্ধশতরান পূরণ করেন গিল। ৭৭ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন তিনি।
কেএল রাহুল অপরপ্রান্তে অবশ্য দারুণ পরিপক্কভাবে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। প্রতিপক্ষ বোলারদের কার্যত কোনও সুযোগই দেননি তিনি। সত্যি বলতে আর্চারদের প্রথম স্পেলের পর ইংল্যান্ড বোলারদের তেমন ধারালো মনেও হয়নি। প্রথম ইনিংসে পেশির চোটে রিটায়ার্ড হার্ট হয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। তিনি এরপর ব্যাটে নেমে সেঞ্চুরি করলেও, সম্ভবত সেই চোটের কারণেই এক ওভারও বল করেননি। তাতেও ভরতীয় দলের যে খানিকটা সুবিধা হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। প্রথম ইনিংসে স্টোকস পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন যে। এবার দেখার বিষয় গিল ও রাহুল নিজেদের ইনিংসটা কতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।