বে ওভাল: একটা বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচও যে কীভাবে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে, তা এদিনের ভারত-নিউজিল্যান্ড (India vs New Zeland) ম্যাচ দেখলেই বোঝা যাবে। প্রথমে সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) ঝোড়ো অপরাজিত শতরান। এরপর শেষ ওভারে টিম সাউদির (Tim Southee) হ্যাটট্রিক। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক হাঁকালেন সাউদি। বে ওভালে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও  ধারাবাহিকতা কাকে বলে, তা চেনাচ্ছেন সূর্যকুমার যাদব। 


ভাঙন আটকে ঝোড়ো শতরান 


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। ভারতীয় শিবির এদিন ওপেনিংয়ে শুভমন গিলকে না খেলিয়ে ঋষভ পন্থকে খেলিয়েছিল। ঈশান কিষাণের সঙ্গে খেলতে নেমেছিলেন ওপেনে পন্থ। কিন্তু এই জুটি ব্যর্থ হয় এদিন। মাত্র ৬ রানে ফেরেন পন্থ। যদিও ৩১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান ঈশান কিষাণও। ব্যর্থ হন শ্রেয়স আইয়ার। ১৩ রান করে ফিরে যান তিনি। তবে একদিকে ততক্ষণে ব্য়াট হাতে ঝড় তোলা শুরু করে দিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। মাঝে অল্প বৃষ্টির জন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। কিন্তু খেলা শুরু হতেই পুরোটাই যেন সূর্য-শো। নিজের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের দ্বিতীয় শতরান হাঁকালেন সূর্যকুমার যাদব। বে ওভালে নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫১ বলে অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কা হাঁকান তিনি। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে হয়ত ১৬০ বোর্ডে তোলাও সম্ভব হবে না। কিন্তু সেখান থেকেই ম্যাচের গতিবিধি বদলে দেন সূর্য। শ্রেয়সের পর হার্দিকও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ক্রিজে। তিনিও ১৩ রান করে ফিরে যান। শেষ পর্যন্ত ভারতের স্কোর হয় ১৯১/৬। 


কিউয়ি বোলারদের মধ্যে এদিন কাউকেই রেয়াত করেননি সূর্যকুমার। ওয়ান ম্যান শো ছিল বে ওভালে এদিন। যদিও ইনিংসের শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করেন টিম সাউদি। টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক করলেন কিউয়ি পেসার।



এই বছরেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম শতরান হাঁকিয়েছিলেন সূর্য। কিউয়িদের বিরুদ্ধে শতরানের দৌলতে রোহিত শর্মার পর মাত্র দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাটার হিসাবে এক বছরে দুই শতরান করার কৃতিত্ব নিজের নামে করলেন। নিজের ইনিংসে ১১টি চার ও সাতটি ছক্কা হাঁকান সূর্যকুমার।