বে ওভাল: সূর্যকুমার যাদবের ইনিংসটিই হয়ত মনোবল নষ্ট করে দিয়েছিল কিউয়ি শিবিরের। যার প্রতিফলন পড়ল তাদের ব্যাটিংয়েও। বে ওভালে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কিউয়িদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল হার্দিক পাণ্ড্যর ভারতীয় দল। পাহাড়প্রমাণ ১৯২ রান তাড়া করতে নেমে ১২৬ রানে শেষ হয়ে গেল নিউজিল্য়ান্ডের ইনিংস। ৬৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। সিরিজেও ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তারা।


ব্যর্থ কেনের মরিয়া লড়াই


বল হাতে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ধাক্কা দিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। যা সামাল দিয়ে উঠতে পারেনি নিউজিল্য়ান্ড। ১৯২ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে খাতা খোলার আগেই ফিরে যান ফিন অ্য়ালেন। এরপর একের পর এক উইকেটের পতন। ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়ামসন মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কনওয়ে ২৫ রান করে ফিরে যাওয়ার পর কেউ কিউয়ি অধিনায়ককে সাপোর্ট দিতে পারেননি। মরিয়া লড়াই করে কেন উইলিয়ামসন ৬১ রানের ইনিংস খেলেন ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে। ফিলিপস ১২ ও মিচেল ১০ রান করেন। লোয়ার অর্ডারে কেউ দু অঙ্কের স্কোরও করতে পারেননি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৪ উইকেট নেন দীপক হুডা। ২টো করে উইকেট পান যুজবেন্দ্র চাহাল ও মহম্মদ সিরাজ। ১টি উইকেট পান ভুবনেশ্বর কুমার ও ওয়াশিংটন সুন্দর।


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। ভারতীয় শিবির এদিন ওপেনিংয়ে শুভমন গিলকে না খেলিয়ে ঋষভ পন্থকে খেলিয়েছিল। ঈশান কিষাণের সঙ্গে খেলতে নেমেছিলেন ওপেনে পন্থ। কিন্তু এই জুটি ব্যর্থ হয় এদিন। মাত্র ৬ রানে ফেরেন পন্থ। যদিও ৩১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান ঈশান কিষাণও। ব্যর্থ হন শ্রেয়স আইয়ার। ১৩ রান করে ফিরে যান তিনি। তবে একদিকে ততক্ষণে ব্য়াট হাতে ঝড় তোলা শুরু করে দিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। মাঝে অল্প বৃষ্টির জন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। কিন্তু খেলা শুরু হতেই পুরোটাই যেন সূর্য-শো। নিজের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের দ্বিতীয় শতরান হাঁকালেন সূর্যকুমার যাদব। বে ওভালে নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫১ বলে অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ১১টি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কা হাঁকান তিনি। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে হয়ত ১৬০ বোর্ডে তোলাও সম্ভব হবে না। কিন্তু সেখান থেকেই ম্যাচের গতিবিধি বদলে দেন সূর্য। শ্রেয়সের পর হার্দিকও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ক্রিজে। তিনিও ১৩ রান করে ফিরে যান। শেষ পর্যন্ত ভারতের স্কোর হয় ১৯১/৬।