সেঞ্চুরিয়ন: ব্যর্থ টপ অর্ডার। ১২১ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতীয় ইনিংসকে অতি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন প্রদান করেন তিনিই। সেঞ্চুরিয়নে চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে দুরন্ত অর্ধশতরান হাঁকান কেএল রাহুল (KL Rahul)। তাঁর অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংসের সুবাদেই ভারতীয় দল কোনওক্রমে দু'শো রানের গণ্ডি পার করতে সক্ষম হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের (IND vs SA 1st Test) প্রথম দিন রাহুলের এই লড়াকু ব্যাটিংয়ের পর অকপটে তাঁকে 'ম্য়ান অফ ক্রাইসিস' তকমা দিলেন বিক্রম রাঠৌর (Vikram Rathour)।
প্রথম দিনের খেলা শেষে ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ রাহুলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন ভারতীয় তারকা নিজের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামেন এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িতও করতে সমর্থ হন। রাঠৌর বলেন, 'সঙ্কটকালে ও সবসময় এগিয়ে আসে। ও কী করতে চায়, সেই বিষয়ে একটা স্পষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নেমেছিল।'
রাঠৌরের মতে নিঃসন্দেহে ভারতীয় দলের কাছে প্রথম দিন শেষে আরেকটু কম উইকেট হারালে ভাল হত, তবে চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটাররা খুব একটা মন্দ পারফর্ম করেনি। 'এমন আবহাওয়া, তার উপর একদিনের বেশি সময় পিচ কভারে ঢাকা ছিল। তাই স্বাভাবিকভাবেই এখানে ব্যাটিং করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিংই হত। আমরা যদি আর এক দুই উইকেট কম হারাতাম, তাহলে তো ভালই হত। তবে আমরা মোটামুটি মন্দ খেলেনি। বোর্ডে কিছু রান তো আছেই।' মত রাঠৌরের।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম সিরিজ় জয়ের লক্ষ্যে জয়সওয়াল, শ্রেয়সদের ওপরই ভরসা রেখেছিলেন নির্বাচকরা। ব্যাটিং অর্ডারেও বদল করা হয়। কোহলি তাঁর তিন নম্বর স্লট গিলকে ছেড়ে দেন। জয়সওয়াল রোহিতের সঙ্গে ওপেনে নামায়, গিল তিনে নেমে আসেন। চারে নামেন বিরাট। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হল না। রাবাডার বলে বার্গারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রোহিত মাত্র পাঁচ রান করে। ভাল শুরু করেও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি জয়সওয়াল। চারটি বাউন্ডারি হাঁকালেও ১৭ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় জয়সওযালকে। বার্গার তুলে নেন বাঁহাতি ভারতীয় ওপেনারের উইকেট।
বার্গারের দ্বিতীয় শিকার হন গিল। দুই রান করে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন তিনি। মাত্র ২৪ রান বোর্ডে তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ভারতীয় দল। সেখান থেকে শ্রেয়স আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে বিরাট কোহলি দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। মধ্যাহ্নভোজের পরই অবশ্য আঘাত হানেন রাবাডা। ৩১ রান করে প্রোটিয়া পেসারের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান শ্রেয়স। বিরাটও ক্রিজে সেট হয়েও রাবাডার বলে ৩৮ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন। এরপর শার্দুল ২৪ রানের ইনিংস খেলেন। অশ্বিন করেন আট রান।
প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে রাবাডা পাঁচ উইকেট নেন। এছাড়া নবাগত নান্দ্রে বার্গার ২ উইকেট নেন ও মার্কো জানসেন একটি উইকেট নেন। দিনশেষে রাহুলের দৌলতেই ভারত আট উইকেটের বিনিময়ে ২০৮ রান তোলে। অবশ্য বৃষ্টির জন্য দিনে মাত্র ৫৯ ওভারই খেলা সম্ভব হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের ভারতীয় দল ঘোষণা করল বিসিসিআই