পাল্লেকেলে: ম্য়াচ শুরুর আগেই বৃষ্টি বাধ সেধেছিল। যার জন্য পিছিয়ে গিয়েছিল টসের সময়ও। তার ওপর আরও খারাপ খবর এসেছিল কিছুটা দূরেই ডাম্বুলা থেকে। সেখানে এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেই হেরে স্বপ্নভঙ্গ হতে হয়েছিল হরমনপ্রীত, স্মৃতিদের। মেয়েদের হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ ছিল ছেলেদের কাছে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্য়াচে খেলতে নেমে বল হাতে অন্তত লঙ্কা ব্যাটারদের চাপে রাখলেন বিষ্ণোই, অর্শদীপরা। শুরুতে পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা ভাল ইনিংস খেললেও, ম্য়াচের সময় যত গড়াল ভারতীয় বোলিং লাইন আপের সামনে কিছুটা চাপে পড়ে গেলেন লঙ্কা ব্যাটাররা। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার লোয়ার অর্ডার ব্য়াটিং লাইন আপ তো একেবারে ধস নামল যেন। একটা সময় যখন মনে হচ্ছিল স্কোর ১৮০ পেরিয়ে যাবে, সেখানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৬১ রানই তুলতে পারল লঙ্কা বাহিনী। 


টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। আগের ম্য়াচের থেকে ভারতীয় একাদশে একটি বদল হয়েছিল। শুভমন গিলের ঘাড়ের ব্যথার জন্য তিনি এই ম্য়াচে খেলছেন না। তার পরিবর্তে সঞ্জু স্যামসনকে দলে নেওয়া হয়েছিল। শ্রীলঙ্কার ২ ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস নেমেছিলেন। অর্শদীপ লঙ্কা শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন। তাঁর বলে ১০ রান করে বিষ্ণোইয়ের হাতে ক্যাচ দিয় ফিরে যান মেন্ডিস। এরপর পাথুম নিশাঙ্কার সঙ্গে কুশল মেন্ডিস দলের হাল ধরেন। দুজনে মিলে দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। নিশাঙ্কা ২৪ বলে ৩২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রবি বিষ্ণোইয়ের শিকার হয়ে। তবে কুশল পেরেরা ছিলেন এদিন লঙ্কা বাহিনীর ব্যাটিং লাইন আপের মূল স্তম্ভ। অর্ধশতরান করার পথে একবার হার্দিকের বলে রিঙ্কুর হাতে জীবন দান পান কুশল। রিঙ্কু ক্যাচ লুফে নিলেও পা ফসকে যাওয়ায় তিনি নিজের শরীরকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। বাউন্ডারি লাইনে ছুঁয়ে যায় রিঙ্কুর শরীর। যদিও শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৫৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুশল পেরেরা। কামিন্দু মেন্ডিস ২৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন। লোয়ার অর্ডারে সেভাবে কেউই আর রান করতে পারেননি। শনাকা ও হাসারাঙ্গা দুজনের কেউই রান পাননি।


ভারতের বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন বিষ্ণোই। ২টো উইকেট নেন অর্শদীপ, অক্ষর, হার্দিক।