ডাম্বুলা: মহিলাদের এশিয়া কাপ (Womens Asia Cup 2024) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হল শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। ভারতকে ফাইনালে ৮ উইকেটে হারিয়ে দিল তারা। প্রথমে ব্য়াট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল হরমনপ্রীত কৌরের দল। অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন স্মৃতি মন্ধানা। কিন্তু সেই রান তাড়া করতে নেমে লঙ্কা ক্যাপ্টেন চামিরা আটাপাট্টু ও হর্ষিতা সমরাবিক্রমা অর্ধশতরানের ইনিংস খেলে ম্য়াচে লঙ্কা বাহিনীর জয় নিশ্চিত করেন। প্রথমবার এই টুর্নামেন্টের আসরে ফাইনালে উঠে খেতাব ঘরে তুলল শ্রীলঙ্কার মহিলা ক্রিকেট দল।


১৬৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল শ্রীলঙ্কা মহিলা ক্রিকেট দলের কাছে। শুরুতেই ভিসমি গুনরত্নের উইকেট ভারতের কাজ সহজ করে দিয়েছিল। কিন্তু এরপরই খেলা থেকে ধীরে ধীরে ভারতকে পিছিয়ে দেন শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেন চামিরা আট্টাপাট্টু ও হর্ষিথা সমরবিক্রমা। দু জনে মিলে ধীরে ধীরে ভারতকে চাপে রাখা শুরু করেন। চামিরা একটু বেশিই আক্রমণাত্মক ছিলেন। ৪৩ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দু জনের পার্টনারশিপই ভারতের কাজ কঠিন করে দেয়। চামিরা নিজের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি মারেন। তাঁকে দীপ্তি ফেরালেও অনেক সময় কেটে গিয়েছিল ততক্ষণে। কারণ উল্টোদিকে হর্ষিথাও অর্ধশতরানের ইনিংস খেলে ফেলেছিলেন। ৫১ বলে ৬৯ রানের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৮.৪ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। ছক্কা হাঁকিয়ে ম্য়াচ জেতান হর্ষিথা। 


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর। শুরুতে শেফালি ও স্মৃতি ওপেনে নেমে চালিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেফালি বেশিক্ষণ ক্রিজে সেট থাকতে পারেননি। তিনি ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ১১ বলে ১১ রান করে প্যাভলিয়নে ফেরেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন। এরপর জেমিমা রডরিগেজকে নিয়ে দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন স্মৃতি। তিনি ৪৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। ১০টি বাউন্ডারি হাঁকান স্মৃতি নিজের ইনিংস। জেমিমাও ভাল এগোচ্ছিলেন। কিন্তু স্মৃতির সঙ্গে ভুল বোঝাবুূঝিতে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। ১৬ বলে ২৯ রানের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। রিচা ঘোষ ১৪ বলে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ৪টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। মূলত রিচার মারমুখি ব্যাটিংয়েই শেষ পর্য়ন্ত ২০ ওভারে ১৬৫ তে পৌঁছে যায় ভারতের ইনিংস। যদিও ম্য়াচ বাঁচাতে পারলেন না ভারতের বোলাররা।