হারারে: নিয়মরক্ষার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। হারারে স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এদিন জিম্বাবোয়েকে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪২ রানে হারিয়ে দিল শুভমন গিলের দল। ম্য়াচে ব্যাট হাতে অর্ধশতরান হাঁকালেন স্যামসন। অন্যদিকে বল হাতে একাই ৪ উইকেট নিলেন মুকেশ কুমার। বোলিং ডিপার্টমেন্টকে নেতৃত্ব দিলেন তিনিই। ১৬৭ রান তাড়া করতে নেমে ১২৫ রানে অল আউট হয়ে গেল জিম্বাবোয়ে শিবির।
১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় জিম্বাবোয়ে। খাতা খোলার আগেই মুকেশ কুমারের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ওয়েসলি। অন্য়দিকে ব্রায়ান বেনেটকে সঙ্গে নিয়ে এরপর ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন মারুমানি। কিন্তু আরও একবার মুকেশ কুমার বাধা হয়ে ওঠেন। এবার তিনি ফিরিয়ে দেন বেনেটকে। মারুমানি ও মায়ের্স মিলে এরপর পার্টনাশিপ গড়ে তোলেন। দু জনে মিলে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন জিম্বাবোয়ের স্কোরবোর্ড। মারুমানি ২৪ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন। পাঁচটি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। কিন্তু সুন্দরের বলে লেগবিফোর হয়ে ফিরে যান শেষ পর্যন্ত। ডিওন মায়ের্স ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। ৪টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। যদিও তাঁকে ফিরিয়ে দেন শিবম দুবে। অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ৮ রান করে আউট হন। এরপর একের পর এক উইকেট নাগাড়ে হারাতেই থাক জিম্বাবোয়ে। ভারতীয় ক্রিকেটাররা দারুণ ফিল্ডিংয়ের দুরন্ত নিদর্শন রাখেন। লোয়ার অর্ডারে আক্রম কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি যোগ্য সঙ্গ পাননি। ১৩ বলে ২৭ রান করেন তিনি। দুটো বাউন্ডারি ও দুটো ছক্কা হাঁকান। তবে ম্য়াচ জিম্বাবোয়ের ভাগ্য ফেরাতে পারেননি। মুকেশ ছাড়া ভারতীয় বোলারদের মধ্যে শিবম দুবে ২ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন তুষার, ওয়াশিংটন ও অভিষেক।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। একাদশে ছাতারা এদিনের ম্য়াচে খেলেননি। ভারতীয় একাদশেও দুটো পরিবর্তন করা হয়। দলে আসেন মুকেশ কুমার ও রিয়ান পরাগ। তবে গিল ও জয়সওয়াল কেউই ভাল খেলতে পারেননি। প্রথমজন ১৩ ও দ্বিতীয়জন ১২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দলের হাল ধরেন সঞ্জু স্য়ামসন। রিয়ান পরাগকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। স্যামসন একটু চালিয়ে খেললেও রিয়ান পরাগ ছিলেন কিছুটা স্লথ। রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে একটি মাত্র অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন। আজ দ্বিতীয় অর্ধতরান হাঁকিয় ফেললেন তিনি। ৪৫ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন।