হারারে: জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে নিল ভারত। চতুর্থ টি-টোয়েন্টি (T20 Cricket) ম্য়াচে ১০ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল শুভমন গিলের (Subhman Gill) নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া। ২৮ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ গেল টিম ইন্ডিয়া। ১৫৩ রান তাড়া করতে নেমে অপরাজিত অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন গিল ও জয়সওয়াল। ১৫.২ ওভারেই জয়ের জন্য় প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত।
১৫৩ রান তাড়া করতে নেমেছিল ভারতীয় দল। ওপেনে নেমেছিলেন জয়সওয়াল ও গিল। প্রথম দুটো ম্য়াচে ওপেনে সুযোগ পাননি জয়সওয়াল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গোটা টুর্নামেন্টে রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই কাটাতে হয়েছিল। কিন্তু কেন জয়সওয়াল ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্য়ৎ, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। মারমুখি ব্যাটিংয়ে শুরুতেই জিম্বাবোয়ের বোলারদের মনোবল ভেঙে দেন জয়সওয়াল। সঙ্গে ধীর স্থির ছিলেন শুভমন গিল। ৫৩ বলে ৯৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তরুণ মুম্বইকর। ১৩টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান জয়সওয়াল।
অন্য়দিকে শুভমন গিল ধরে খেলার চেষ্টা করছিলেন। ৩৯ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন। ৬টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান ভারতের তরুণ অধিনায়ক। ২৮ বল বাকি থাকতেই ম্য়াচ জিতে যায় ভারত। প্রথম ম্য়াচ হারলেও, পরপর তিনটি ম্যাচ জিতে সিরিজে জিতল টিম ইন্ডিয়া।
এদিন টস জিতে প্রথমে জিম্বাবোয়েকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ভারত অধিনায়ক। এদিনের একাদশে একটি পরিবর্তন করা হয়। আবেশ খানের বদলে দলে সুযোগ পান তুষার দেশপাণ্ডে। নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম ম্য়াচ খেলতে নেমেছিলেন তুষার। নিজের প্রথম ওভারে ১১ রান খরচ করলেন চেন্নাই সুপার কিংসের পেসার। জিম্বাবোয়ের ২ ওপেনার মিলে শুরুতে দুর্দান্ত খেলছিলেন। মারুমানি ও মাধুভেরি মিলে আট ওভারে ষাটের গণ্ডি পার করিয়ে দেন। মারুমানিকে প্রথম প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান অভিষেক শর্মা। রিঙ্কু সিংহ ক্যাচ লুফে নেন। এরপর আরেক জিম্বাবোয়ের ওপেনারও প্যাভিলিয়নে ফেরেন শিবম দুবের বলে। তাঁর ক্যাচটিও লুফে নেন রিঙ্কু সিংহ। এরপর ব্রায়ান ব্রিটকে সঙ্গে নিয়ে সিকান্দার রাজা দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু করেন। জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক একটা মারমুখি ইনিংস খেলার চেষ্টা করেন। ২৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দুটো বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা হাঁকান রাজা। ভারতের হয়ে অভিষেক করা তুষার দেশপাণ্ডে ৩ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন।